অ কিঞ্চিৎ ৩
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
"খুব তাড়াহুড়োর সময় মুখচেনা এক-আধজন বুন্টুর বাবার সঙ্গে আপনার দেখা হবেই। সামান্য চোখাচুখির পর কাষ্ঠ হেসে বেরিয়ে যাওয়ার অন্তিম মুহূর্তে, ওদিক থেকে প্রীতিসম্ভাষণ আসবে-'ভাল?' তাড়াতাড়ি নড করে হাডুডু (How do you do) ভদ্রতায় ফিরতি বলি- 'আপনি ভাল আছেন মেসোমশাই?' এই এক মারাত্মক বল আপনি তুলে দিলেন প্রতিপক্ষের পায়ে। এই জিগানোই কাল হইল শ্যাষে।
-আর বোলো না বাবা, গত তিনদিন ধরে গলা খুসখুস, চাপা কাশি। তোমার কাকিমা বললেন বলে চ্যবনপ্রাশ খাচ্ছি, সকালে-বিকেলে দু'-চামচ, তার মধ্যে বিকেলে একটু ছাদে হাঁটি, সিঁড়ি চড়লে হাঁপ ধরে, বুকের ভেতর শোঁ-শোঁ করে আওয়াজ, এমন তার বেগ, মনে হবে বাংলাদেশ থেকে বোধহয় সাইক্লোন এয়েছে... তারপর ধরো পরশু দিন, তোমার কাকিমা করেছেন ফুলকপি, রাঙামুলো দিয়ে পাঁচমেশালি চচ্চড়ি, এইসময় কপির সঙ্গে মুলো, মানে বুঝছ তো, গ্যাসে গ্যাসে পুরো ভূপাল গ্যাস লিক, তার মধ্যে আবার এই হাঁটাহাঁটির জন্য হাঁটুতে ধরেছে ব্যথা, মানে যারে কয় গেঁটেবাত, ডাক্তার দেখালে বলে পাঁচশো টেস্ট করুন, আমার আবার বুকে তো পেসমেকার বুঝলে, ফলে মেটাল মাদুলি পরাও বারণ, তাই সবরকম টেস্ট থেকে শতহস্ত দূরে...."
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি