অদামৃতকথা
ব্রাত্য বসু
পৃষ্ঠা সংখ্যা : 256
অদা ও অমৃত। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি ও অমৃতলাল বসু। বাংলা নাট্য উপাখ্যানের দুই বর্ণময় কুশীলব। দর্শকের কাছে অভিনেতা হিসাবে কোন স্বপ্নলোকের বাসিন্দা ছিলেন এই দুই নট? সমস্ত জীবন বাংলার রঙ্গালয়ে কোন আশ্চর্য প্রদীপের সন্ধানে ছিলেন দু'জনে? দু'জনে কি নিছকই একে অপরের গুণমুগ্ধ ছিলেন, নাকি তাঁদের মধ্যে ছিল এক নিরুচ্চার নিগূঢ় সম্পর্ক-রসায়ন? কি সেই পঞ্চমবৈদিক আধিভৌতিক আকর্ষণ? 'অদামৃত কথা' উপন্যাসে লেখক ব্রাত্য বসু পাঠককে ক্রমাগত সেই ভুলভুলাইয়াতে ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সন্ধানে অনিবার্যভাবে স্বয়ং গিরিশচন্দ্র ঘোষ সমেত বাংলা থিয়েটারের বিবিধ বিচিত্র চরিত্রের সমাহার নির্মিত হয়েছে। মঞ্চের আলো আর উইংসের অন্ধকারের মাঝে যে একফালি আবহমান জীবন তার সুলুকসন্ধান এই উপন্যাসে। এখানে চরিত্র খুলেছে ইতিহাসের দরজা, ইতিহাস খুঁজে বের করেছে আখ্যান। সেই ইতিহাসের প্রামাণ্য তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার এই উপন্যাসকে করে তুলেছে একটা নিশ্ছিদ্র গবেষণার দলিল। এবং ইতিহাস-উত্তর সময় আখ্যান। অদা আর অমৃতের দুই আশ্চর্য জীবন সমাপতিত এই 'অদামৃত' আখ্যানে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি