প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে নারীদেরকে গুপ্তচর, বিষ কন্যা রূপে নিয়োগ করার রীতি মৌর্য যুগে বেশ জনপ্রিয় ছিল. অল্প বয়স থেকে খাবারে একটু একটু করে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে তাদের শরীরকে বিষাক্ত করা হত. পরিপূর্ণ বিষকন্যা রূপে তৈরি করতে সময় লাগত ন্যূনতম আঠারো বছর. বিষের প্রভাব সহ্য করা ছাড়াও নানান ছলা কলা, কাম কলা তাদের আয়ত্ত করতে হত. প্রতিটি বিষ কন্যাকেই চতুর, পরমা সুন্দরী, ধুরন্ধর ও তীক্ষ বুদ্ধির অধিকারিণী হতে হত. প্রভাব শালী প্রতিপক্ষের কাছে তাদের পাঠিয়ে ঘায়েল করা থেকে শুরু করে নানা কার্য সিদ্ধি তাদের দিয়ে করিয়ে নিতেন রাজারা. প্রাচীন ভারতে বিষ কন্যাদের বিষয়ে জানতেন এরিস্টটল তাই আলেক জান্ডারের ভারত আক্রমণের পূর্বে তিনি তাঁর প্রাক্তন ছাত্রকে এইসব সুন্দরী নারী দের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন কিন্তু সুন্দরীর হাতছানি ও তৃতীয় রিপু যেখানে নাম গোত্র ভুলিয়ে দেয় সেখানে গুরু বাক্য তো কিছুই নয়. ৩২৬ খ্রিস্টাব্দে ঝিলমের যুদ্ধে প্রতিপক্ষের রাজা পুরু কে পরাস্ত করে আবার পুনরায় সেই রাজ্য তাঁকে ফিরিয়ে দিলে পুরু খুশি হয়ে এক অপূর্ব সুন্দরী নারীকে উপঢৌকন স্বরূপ আলেকজান্ডারের হাতে তুলে দেন.
নিজের শিবিরে সুন্দরী মোহিনীকে একান্তে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়ে আলেকজান্ডার. পুরুর পাঠানো সেই বিষ কন্যার প্রভাবে আলেক জান্ডারের দীপ্তি ও পৌরুষ শক্তি তিলে তিলে শেষ হয়ে যায়. ব্যাবিলন শহরে প্রচন্ড জ্বর ও রক্ত আমাশয় রোগে ৩৩ বছর বয়সে মারা যান আলেক জান্ডার. পুরু তাঁর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন এভাবেই.
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.