আমাদের নবজীবনের গান
জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র
প্রচ্ছদ : প্রচ্ছদ কর
"এল ১৯৪৩ সাল, বাংলায় ১৩৫০। চরম বিপর্যয় ও বীভৎস মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ালাম। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম। চৌরঙ্গী, কালীঘাট, লেক মার্কেটের মোড়, বালিগঞ্জ... ওদিকে শেয়ালদা, শ্যামবাজারের মোড়। সর্বত্র এক দৃশ্য- শতসহস্র কঙ্কাল 'ফ্যান দাও ফ্যান দাও' বলে চিৎকার করছে। ডাস্টবিনের পচা এঁটোকাটা নিয়ে কুকুরে-মানুষে মারামারি। আর দেখলাম মৃত্যু- অমৃতের সন্তানরা মরছে যেন পোকামাকড়।
একদিন দেখলাম মা মরে পড়ে আছে। তার স্তন ধরে অবোধ ক্ষুধার্ত শিশু টানাটানি করছে আর হেঁচকি তুলে কাঁদছে।
এর প্রচণ্ড অভিঘাত আমার গোটা অস্তিত্বকে কাঁপিয়ে দিল। আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম- না নানা।
এই হল শুরু। মনে নেই কার বাড়িতে গিয়ে হারমনিয়াম নিয়ে বসেছিলাম, কার কাগজ ধার করে কার কলমে লিখেছিলাম।
সুর আর কথা মনের বেদনা ও যন্ত্রণার রুদ্ধ উৎসমুখ থেকে ঝরনার মতো বেরিয়ে এল। শুরু হল 'নবজীবনের গান'!"
কথামুখ: চিন্মোহন সেহানবীশ
সঙ্গে সংগীতাচার্য জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ কৃত নবজীবনের গানের স্বরলিপি এবং গীতা ঘটক সহ বহু প্রবীণ ও নবীন শিল্পীর সমন্বয়ে প্রস্তুত 'নবজীবনের গান' অপেরার QR Code. সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.