আমি চন্দ্রাবলী বলছি
অর্পিতা সরকার
"আমি চন্দ্রাবলী বলছি" একটি দীর্ঘ উপন্যাস। এ উপন্যাসে চন্দ্রাবলী নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। মানুষকে ভালোবেসেছে প্রানভরে নিঃস্বার্থভাবে। কোনো কিছুর বিনিময়েই আত্মসম্মানকে হারিয়ে ফেলেনি। প্রেমের বিনিময়ে বিলিয়ে দেয়নি লড়াই করে বাঁচিয়ে রাখা আত্মমর্যাদাকে। কাছের মানুষদের একে একে দূরে সরে যেতে দেখেছে। দু-হাত দিয়ে আগলে রাখা পরিবারে ভাঙন দেখেছে। স্বপ্ন দেখা চোখ দুটো এক সময় ঝাপসা হয়েছে, তবুও স্বপ্ন সফলের লড়াইয়ে থেকেছে অনড়। চন্দ্রাবলীর স্কুলবেলা থেকে যৌবন সবটুকুই কেটেছে এক ইচ্ছেপূরণের প্রচেষ্টায়। প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে চন্দ্রাবলী নিজে মুখে বলবেন সে কথা পাঠকদের।
বালিকার চঞ্চলতা, সাংসারিক দায়িত্ব, প্রেমের হাতছানি, গভীর প্রেমে মাতাল হয়েছে তার যৌবন তারপরেও চন্দ্রবলী আর পাঁচটা মেয়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
চন্দ্রাবলীর জীবনের ওঠা-পড়া, প্রেম-বিচ্ছেদের কাহিনী নিয়েই এই উপন্যাস। যেখানে অগ্নিভর মত প্রেমিক আছে। অর্জুন বসুর মত স্বার্থপর চিকিৎসক আছেন। মৃণালকান্তির মত বাবা আছেন।
শোভনার মত নীরবে মেনে নেওয়া স্ত্রী আছেন। চন্দ্রনাথের মত অভিমানী ভাই আছে। শ্রেষ্ঠার মত বন্ধু আছে। রিনির মত সৎ চিকিৎসকও আছেন।
সর্বপরি আছে আকন্দপুরের কাজললতা দীঘির পাড়ের নিস্তব্ধতা। আছে তিলোত্তমার যান্ত্রিক জীবনের একমুঠো ছবি।
তার মধ্যেই স্থির, অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্রাবলী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি