অ্যাংলো জীবন : বো ব্যারাক পেরিয়ে
শুচিস্মিতা দাস
প্রকাশক : ব্ল্যাকলেটার্স
ব্ল্যাকলেটার্স প্রকাশ করেছে শুচিস্মিতা দাসের বই অ্যাংলো জীবন : বো ব্যারাক পেরিয়ে।
কারা এই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান?
কলকাতা শহরে আমরা যারা জন্মেছি-বড় হয়েছি, অন্তত কিছুটা সময় কাটিয়েছি; আমাদের সকলেরই কমবেশি চেনা বো ব্যারাকের বড়দিন উদ্যাপন। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে নেমে খানিকটা হেঁটে গিয়েই ব্যস্ততম বউবাজার থানার কাছেই এই বো ব্যারাকস। এখানে নাকি এখনও থাকেন কিছু অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মানুষ। কারা এই অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানস? অঞ্জন দত্তের সৌজন্যে আমরা অনেকেই দেখে ফেলেছি বো ব্যারাকস, ফরএভার (২০০৪)। অথবা দেখেছি, অপর্ণা সেনের ৩৬ চৌরঙ্গী লেন (১৯৮১) বা সত্যজিৎ রায়ের মহানগর (১৯৬৩), তারও আগে অজয় করের সপ্তপদী (১৯৬১)।
কেউ এদের গুলিয়ে ফেলেন কলকাতাবাসী বাঙালি খ্রিস্টানদের সঙ্গে, কেউ আবার ভাবেন 'ইউরেশিয়ান'। আঠারো-উনিশ শতকে ইউরোপীয় বণিক-শাসককূল যখন এই উপমহাদেশে আবাদ গড়ে তুলল, প্রকৃতির নিয়মেই এই মাটিতেই জন্ম নিল এক জনগোষ্ঠী। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। সংবিধান অনুযায়ী যাদের পিতৃকূল ইউরোপীয় ও মাতৃকূল ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তারা না পুরোপুরি ভারতীয়, না ভিনদেশী। অথবা দুটোই।
শুচিস্মিতা দাসের দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল এই বইতে উঠে এসেছে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের আত্মপরিচয়ের ভাঙা-গড়ার ইতিহাস, কলকাতা শহরে তাঁদের সাংস্কৃতিক অভিযোজন, খাদ্যাভ্যাস পালটে যাওয়া, 'ওদেশে' উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন, স্যুইট হোমের নিরন্তর খোঁজ। নানা প্রশ্ন ও অপ্রাপ্তির মাঝে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার উদযাপন। আঁটোসাটো সাজানো নয়, বরং এক অনিশ্চয়তায় ভরা তাঁদের জীবন।
বহু মানুষের সাক্ষাৎকার, দিনলিপি, লড়াই আর আক্ষেপের গল্প নিয়ে তৈরি এই বই।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি