অরাজ-কাহিনি : বাংলার রাজনৈতিক গল্প
সম্পাদনা : শিবশঙ্কর চক্রবর্তী
'আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। স্বাধীনতা আন্দোলনের যে সশস্ত্র সংগ্রাম ইংরেজ সরকারের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল তাতে এই বাংলার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।
বাংলা এবং বাঙালি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন এক জাতি।
স্বাধীনতার অব্যবহিত আগে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গায় ডাইরেক্ট একশন ডের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছিল তা স্বাধীনতার পরেও টিকে আছে।
গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং থেকে শুরু করে পার্টিশন, স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক অচলাবস্থা, বেকার সমস্যা এবং গ্রাম বাংলার কৃষক মজুরদের অবর্ণনীয় খারাপ অবস্থা থেকে তৈরি হওয়া খাদ্য আন্দোলন, ভূমি আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন এবং অবশেষে নকশাল আন্দোলন। কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জমে ওঠা ক্ষোভের পরিণাম হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে বাম দলগুলোর উত্থান, চীনের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাম দলগুলিতে ভাঙ্গন, নকশাল আন্দোলনের নৃশংস ভাবে দমন এবং অবশেষে বামফ্রন্টের ক্ষমতায় আসা।
৩৪ বছর রাজত্ব করার পর দুর্নীতি, বেকার সমস্যা এবং সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের প্রেক্ষাপটে বাম সরকারের পতন এবং মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসা ২০১১ সালে। রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা আসেনি তাতেও। সাম্প্রতিক অতীতে পশ্চিমবঙ্গ সাক্ষী থেকেছে এক বৃহৎ গণ আন্দোলনের।
পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া এই সমস্ত রাজনৈতিক এবং গণআন্দোলন, রাজনৈতিক পালাবদল ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের লেখা এবং বই বেরিয়েছে। আমাদের প্রয়াস ছিল পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাবলীর এক সংকলন তৈরি করা কিন্তু সেটা লেখকদের কল্পনার রঙে রাঙিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক জতুগৃহের ছাই ঘেঁটে নিয়ে আসা হয়েছে ষোলখানা রক্তাক্ত বুলেট।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি