অনিষিদ্ধ
সম্পাদনা : সুপর্ণা চ্যাটার্জী ঘোষাল
হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন এক নয়, তেমনই আমাদের সমাজে যে বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছেন, তাঁদের আচার আচরণ, ব্যবহার বিধি এবং যৌন কার্যকলাপও এক নয়।
কোনটাকে অন্যায় বা অপরাধ বলে দাগিয়ে দেব, আর কোনটাকে বা সর্বজনগ্রাহ্য বলব, এ নিয়ে বিতর্ক চিরকালীন। পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য নারকীয় ঘটনার প্রসঙ্গেই বলি, যে খুন ও ধর্ষণটি (নাকি ধর্ষণ ও খুন) এক মেডিকেল কলেজে ঘটেছে, তার পিছনে ছিল অন্যান্য দুর্নীতি সহ যৌন-দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাওয়া ভয়।
আড়ালে আবডালে শোনা যাচ্ছে, সেখানে পর্ণচক্রই নয়, রীতিমতো শবদেহের সঙ্গে যৌনমিলনের ভিডিও করা হত বিদেশে পাচার করবে বলে।
শবদেহের সঙ্গে যৌনমিলন--এ হেন ঘৃণ্য অপরাধ সম্পর্কে ভারতীয় আইনবিধি কী বলছে? পূর্বের আই পি সি বা বর্তমানের ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাতা পাল্টালেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
মানুষ যৌনসঙ্গম করে মূলত আনন্দের জন্য। মুহূর্তের সুখই তার কাম্য। এখানে কনসেন্ট বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু যদি কারো ইচ্ছে হয় জড়পদার্থের সঙ্গে লিপ্ত হতে, তখন কার কাছ থেকে সে অনুমতি চাইবে? তাতে কি সমাজ তাকে পাগল বলে দাগিয়ে দেবে না? আবার যে ব্যক্তির আঙুল এগিয়ে আসে, শিশু শরীর লক্ষ করে, তার জন্য কোনও ক্ষমা নেই। অথচ এই সবই মানুষের যৌনচাহিদার এক একটা অঙ্গ। বিকৃত নাকি বিতর্কিত, তা বিচারসাপেক্ষ। বলা ভাল, এগুলো এক-একটা প্যারাফিলিয়া।
স্মেল অফ বুকস-এর পক্ষ থেকে এমনই এক সংকলন প্রকাশ হয়েছে, যেখানে এই প্যারাফিলিয়ার বিশেষ কয়েকটি দিককে তুলে ধরা হয়েছে। তবে সাবধান। একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি, বইটি কোনও মতেই অপ্রাপ্তমনস্কদের জন্য নয়। যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারলে, তবেই এই বই সংগ্রহ করবেন। কারণ, মানুষের মনের অন্ধকারতম দিকটিই উঠে এসেছে প্রত্যেকটা গল্পে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি