আরতি কথা
অমিতেন্দু বিশ্বাস
আরতির বর্ণনা সংস্কৃত গ্রন্থে 'আরাত্রিক' নামেই করা হয়েছে, কোথাও আবার বলা হয়েছে 'নীরাজন'। আরতির প্রয়োগ বিধিতে তাই বলা হয়েছে "ওঁ এতস্মৈনীরাজনদীপমালায়ে নমঃ”। এই নীরাজন বলতে দেবপ্রতিমার সম্মুখে ধূপ-দীপাদি দ্বারা আবর্তন করাকে বোঝানো হয়। বিশেষ অর্থে বলা হয় অবিদ্যার বন্ধন অর্থাৎ কুসংস্কার থেকে মুক্তির জন্য দেবতার সম্মুখে বিষম সংখ্যার উজ্জ্বল শিখাযুক্ত প্রদীপ, সুগন্ধী ধূপ, গঙ্গা জলে পরিপূর্ণ জলশঙ্খ ইত্যাদি উপচারের মাধ্যমে আবর্তন ক্রিয়া দ্বারা যে অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে তাকেই 'আরাত্রিক' বা 'নীরাজন' বলা হয়। প্রাচীন ভারতীয় ভাষা তামিলে আরতি করাকে 'আরাধনই' বলে সম্বোধন করা হয়েছে, এক্ষেত্রে ধূপ আরতিকেই 'ধূপ আরাধনই' ও দীপ আরতিকে 'দীপ আরাধনই' বলা হয়ে থাকে। বর্তমান আরতি শব্দটি যে সংস্কৃত ভাষার 'আরাত্রিক' শব্দ থেকে এসেছে এটিতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু ধূপ-দীপের এই আরাধনা যে আরতির নামকরণের থেকে অনেকটাই প্রাচীন আচার সে বিষয়টিও সহজে অনুমান করতে কোনো অসুবিধা হয় না। তবে আরতির বৃহৎ অর্থে বিস্তারের জন্য বৈষ্ণব সংস্কৃতির অবদান সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.