বাল্মীকি-রামায়ণ (দ্বিতীয় খণ্ড)
বহুকাল থেকেই বাঙালির সঙ্গে রামায়ণের সহজ পরিচয়। তবে সে রামায়ণ মূলত কৃত্তিবাসের রামায়ণ। সে রামায়ণ কিন্তু মূলানুগ নয়, তা এক রূপান্তর। মূল রামায়ণ বলতে সাধারণভাবে বাল্মীকির রামায়ণের কথাই বলা হয়। তবে রামায়ণের নানান রূপভেদ আছে। আর সেসব রূপভেদ দেশ ছাড়িয়ে প্রচলিত হয়েছে বিদেশে, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে। সেসব রামায়ণের সঙ্গে বাল্মীকি-রামায়ণের মিল যত অমিল ততটাই। আজ তাই খাঁটি রামায়ণ বলতে বুঝি বাল্মীকি-রামায়ণকে। উনিশ শতকে বাল্মীকি-রামায়ণের যে একটিমাত্র পূর্ণাঙ্গ অনুবাদের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় হয়েছিল, আজ সেটি নানা কারণে পাঠকের থেকে দূরবর্তী। ভাষার প্রাচীনতা ও দুরূহতা একটা কারণ নিশ্চয়। স্বাদু গদ্যে পূর্ণাঙ্গ অনুবাদের অভাব মেটাতেই এই গ্রন্থের পরিকল্পনা। দীর্ঘ দেড় দশক কাল ধরে চলেছে এই অনুবাদকর্ম। শুধু তো শ্লোক ধরে ধরে অনুবাদই নয়, সেই সঙ্গে এতে আছে টীকা ও নির্ঘন্ট। টীকা ও নির্ঘন্ট সংবলিত পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ বলতে গেলে এই প্রথম।