বালুচ দস্তাবেজ

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
দেবশ্রী চক্রবর্তী

মূল্য
₹350.00
ক্লাব পয়েন্ট: 40
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

বালুচ দস্তাবেজ 

দেবশ্রী চক্রবর্তী 

প্রচ্ছদ -কৃষ্ণেন্দু মন্ডল 

"বালুচ দস্তাবেজ"কে ঠিক উপন্যাস বলা যায় না, একে বালুচিস্থানের আত্মিক ধারাভাষ্য বলা যেতে পারে। আমি আমার এই সৃষ্টির মাধ্যমে একদম প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বালুচিস্তানে যেন সময় ভ্রমণ করে বিভিন্ন বাস্তব ঘটনাকে আমার কল্পনার মিশ্রণে এক নতুন কায়া দান করেছি। 

আমার অন্যান্য সৃষ্টি থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা, একে সাহিত্যের স্বীকৃতি না দিয়ে আমি একে একটি দস্তাবেজের মাঝে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজের সাথে তুলনা করতে চাই। আমার এই লেখা পড়া শুরু করার আগে আপনাদের কয়েকটা কথা জানিয়ে রাখা অত্যন্ত দরকার আর তা হচ্ছে, বালুচিস্তান 

সমস্যাকে বাইরে থেকে দেখে বিচার করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের যা দেখানো হয়, আমরা তাই দেখি। বালুচিস্তানকে বুঝতে হলে এর আত্মাকে অনুভব করতে হবে, আর তা একমাত্র সম্ভব এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে একটি পূর্নাঙ্গ ধারণা থাকলে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের কালাত অধিগ্রহণ থেকে 

শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সময়কে বেশ কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে বালুচিস্তানের ইতিহাসের বিভিন্ন অধ্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৪৭ এর পর থেকে পাকিস্তানের মসনদে যেসব শাসকেরা উপবিষ্ট হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এক একরকম দৃষ্টিকোণ তথা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বালুচিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সেই সব ইতিহাসকে 

এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান সময় পাকিস্তান বিপুল পরিমাণ অর্থের ঋণ পরিশোধ করার জন্য বালুচিস্তানকে এক প্রকার চিনের হাতে তুলে দিয়েছে। চিন কাশগর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে এক দীর্ঘ পথ তৈরি করেছে, যা বালুচিস্তানের গুয়াদার বন্দর পর্যন্ত গিয়েছে। এই দীর্ঘ পথকে চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক 

করিডোর নাম দেওয়া হয়েছে। চায়না পাক ইকোনমিক করিডোরের মাধ্যমে বালুচিস্তানের উন্নতির নামে এই অঞ্চলের ওপর যে ভয়ঙ্কর শোষণ চালানো হচ্ছে, স্বাধীনতা আন্দোলনের নামে একদল গোষ্ঠী প্রধান যেভাবে সাধারণ বালুচদের এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, গ্রামের পর গ্রাম পুরুষ শূন্য করে দিয়ে, মহিলাদের 

রেপ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কীভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দিনে দুপুরে বালুচিস্তানের প্রান্তরে কীভাবে গন কবর দেওয়া হচ্ছে, কিভাবে জীবন্ত মানুষকে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথা ফুটো করে দেওয়া হচ্ছে, শিশুদের আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এইসব চিত্র এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। বি এল এ, 

মাজিদ ব্রিগেড সহ বিভিন্ন স্বাধীনতাকামী সংগঠনের প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এবং তাঁদের কর্মকাণ্ড, এইসব সংগঠনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড সহ বালুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিভিন্ন দেশের অবদানকে এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পাকিস্তান দিনের পর দিন যেভাবে ভারতের মধ্যে সন্ত্রাস তৈরি করে রেখেছে, এরকম 

পরিস্থিতিতে আমাদের দেশ ভারত বালুচিস্তান সমস্যার সাথে কীভাবে যুক্ত হতে পারে, যাতে পাকিস্তান নিজের সমস্যায় এতটাই মেতে থাকে যে তার পক্ষে প্রতিবেশীর সংসারে আগুণ ধরানোর জন্য আর কোনো সময় না থাকে, এইসব বহু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এই লেখার মধ্যে। 

বালুচিস্তান সমস্যাকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণের সাথে সংযুক্ত করে কল্পনার মিশ্রণে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশাকরি অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় রচিত এই লেখা পড়লে পাঠকদের কাছে বালুচিস্তান সমস্যা সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে। 

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

সংশ্লিষ্ট বই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি