এক যে ছিল মন্দ রানি
মহুয়া মল্লিক
প্রচ্ছদ -সন্তু কর্মকার
ছোট থেকেই আমাদের মননে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে রাজা, রানি আর পক্ষীরাজ ঘোড়ার গল্প। রানি বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী এবং গুণবতী এক আলোকসামান্যা নারী। ভালোত্বের ক্ষীরটুকু দিয়ে তাঁকে নির্মাণ করেছেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু আমাদের এই কাহিনিতে উঠে এসেছে এক মন্দ রানির কথা। অতিসাধারণ, কুদর্শনা, আভিজাত্যহীন এক কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সামান্য এক মেয়ে মাদাগাস্কারের সিংহাসনে আরোহণ করল মহা সমারোহে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কী সহজে মেনে নিতে পারে এক সামান্য নারীর এই উত্তরণ? অতএব কেউ তকমা দিল মন্দ রানি আবার কেউ দাগিয়ে দিল “মাদাগাস্কারের ম্যাড কুইন” বলে। মন্দ রানির শিরোপা মাথায় নিয়েই রানি যেমন রাজ্যশাসনে কঠোর হয়ে উঠলেন তেমনই ফিরিয়ে আনলেন মধ্য যুগের কদর্য শাস্তিদানের প্রথা। মাদাগাস্কার দ্বীপকে মিশনারীদের কবল থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত করলেন। বিদেশি শক্তিকে পরাভূত করে নিজের রাজ্যপাটকে সুরক্ষিত করলেন। প্রখর বুদ্ধিসম্পনা এই রানি ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করে নিলেন। কুদর্শনা, সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই নারী রাজার ভালবাসা পাননি ঠিকই, তাই বলে তাঁর জীবনে সর্বগুণান্বিত প্রেমাস্পদের অভাব ছিল না। তবে প্রয়োজনে তিনি কঠোর থেকে থেকে কঠোরতর হয়ে উঠেছেন প্রেমিক পুরুষ থেকে শুরু করে নিজের সন্তানের প্রতিও। এই উপন্যাসটি মাদাগাস্কারের রানি প্রথম রানাভালনার বৈচিত্র্যময় জীবনের নানান উত্থান পতনকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। একটি সাধারণ ঘরের মেয়ে কেনই বা ইতিহাসে মন্দ রানির তকমা পেলেন কেনই বা মাদাগাস্কারের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন তা এই উপন্যাসে তুলে ধরার প্রয়াস করা হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি