যে তোমায় যেরূপে ভজে, তাহে তুষ্ট তুমি নিজে, মিছে এ সংসার মাঝে, দোষাদোষী অকারণে কালীপ্রসন্ন কহে যথা, এ নহে নূতন কথা, জগতেরই এই প্রথা, চারি যুগে সবে জানে কে এই ‘কালীপ্রসন্ন’? পরমার্থ সঙ্গীত রত্নাকর-এর রচয়িতা মৌলবী বেলায়েৎ হোসেন। যে বইটির ভূমিকায় প্রকাশক হরিশ্চন্দ্র দত্ত লিখছেন, “পরমার্থসঙ্গীতের কবিতাগুলি কলিকাতা শিয়ালদহনিবাসী সুপ্রসিদ্ধ কবিবর মৌলবী বেলায়েৎ হোসেন মহোদয় বিরচিত। … অস্মদীয় গুণীগ্রগণ্য মহা মহা পণ্ডিতগণ উক্ত মৌলবী মহোদয়কে ভূরি ভূরি প্রশংসা করিয়া থাকেন। এই পরমার্থভাবপূর্ণ পদাবলীগুলি আমাদিগের পুরাকালীন সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্রে নির্দ্দিষ্ট প্রসাদগুণে পূর্ণ বলিয়া, পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে মৌলবী মহোদয় ‘কালীপ্রসন্ন’ উপাধিতে বিখ্যাত হইয়াছেন।”
বেলায়েৎ হোসেন একা নন। এই ধারাতেই এসেছেন রেহানদ্দি, আলি রাজা, রমজান খাঁ, নওয়াজিস খানেরা, এসেছেন হাসন রাজা, বাবা আলাউদ্দিন খাঁ। এবং নজরুল ইসলামও কি?
এ বই ধর্মচর্চার নয়, পরমতসহিষ্ণুতার উদযাপন। যে সহিষ্ণুতা আমাদের সহজাত। বরং অসহিষ্ণুতা বহিরাগত এবং আরোপিত। এই সত্যিটা আরেকবার বলবার জন্য বাঙালি মুসলমানের কালীচর্চা বইটির প্রকাশ জরুরি ছিল। বিশেষ করে আজকের আবহে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.