বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা- ৩ - গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য
কৃষ্ণেন্দু দেব
"১৯৫৩ সালে জে.বি.এস. হলডেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Non Violent Biology’ শিরোনামের এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, “I earnestly hope that your University will appoint atleast one zoologist whose main interest is in animal behavior. Such a man or woman would be advised to spend a few months in Europe with Von Frisch, Thrope, Tinbergen, Lorenz, Lack, or one of the other men who have created the modern study of animal behavior...”। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেদিন যদি হলডেনের পরামর্শ মেনে নিতেন, তাহলে অমন একজন সুযোগ্য প্রাণী-আচরণবিদ খুঁজতে তাঁদের বিশেষ বেগ পেতে হতো না। তিনি অবশ্যই বাঙালি প্রকৃতিবিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তাঁর খোঁজ সেদিন কেউ করেননি।
আসলে পৃথিবীতে কিছু মানুষ জন্মান যাঁরা জীবনভর প্রকৃতির নানা বৈচিত্র---গাছপালা, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি নিয়েই মেতে থাকেন। বছরের পর বছর প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা যেসব তথ্য পান তা আর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেও ভোলেন না। বিলেতে সেই দুশো তিরিশ বছর আগেই Gilbert White একটা বই (The Natural History and Antiquities of Selborne, 1789) লিখে ফেলেছিলেন তাঁর গ্রাম ও আশেপাশের পরিবেশ নিয়ে। পরবর্তীকালে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে সাড়া ফেলেছেন চার্লস ডারউইন (Charles Darwin), জ্যাঁ অঁরি ফ্যাবার (Jean Henri Fabre), ওজিন মারে (Engene Nielen Marais) প্রমুখ বিজ্ঞানীরাও। গোটা বিশ্ব ওঁদের চেনে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বিশ্বদরবারে আমাদের ঘরের স্বভাব বিজ্ঞানী গোপালচন্দ্রের কোনো পরিচিতি নেই। প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে ব্রাত্যই রয়ে গেলেন?"
বাঙালি বিজ্ঞানী সিরিজের তৃতীয় বই কৃষ্ণেন্দু দেবের গোপালচন্দ্র|
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.