বাংলার পাখি (খন্ড - ১)
অজয় হোম
-----------------
পাখি আমার নীড়ের পাখি
পাখির সুন্দর বাহারী রঙের সমাবেশে শিল্পী-প্রকৃতির অপূর্ব কারুকার্যে আমরা মুগ্ধ হই। মিষ্টি গলার মধুর গানে আমাদের মন ভরে ওঠে। মানুষের গলার নিখুঁত পরিবেশনে বিস্ময় জাগে। ওড়া দেখে মাটির মানুষের মন উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। কবি দূতরূপে পাঠায় তার প্রিয়জনের কাছে। বিজ্ঞানী যন্ত্রের সাহায্যে উড়ে পাল্লা দিতে চায়। ওড়ার ভঙ্গিমা দেখে উড়োজাহাজের মডেল বানায়। কিংবা, দাঁড়ের চন্দনা-টিয়াকে ছোলা খাওয়াতে, খাঁচার ময়নাকে ছাতু বা বদরিকা-মুনিয়াকে কাঙনিদানা দিতে গিয়ে আমরা তখন কেউই ভাবতে পারি না যে টিকটিকি, গিরগিটি, সাপ, ভীমসরট বা ডাইনোসর অর্থাৎ সরীসৃপ থেকে এই পক্ষিকুলের উদ্ভব। অবশ্য সেটা ঘটবার সূত্রপাত হয়েছিল পুরাজীবতত্ত্ববিদদের মতে-আনুমানিক পনের কোটি বছর আগে। পৃথিবীর বুকে স্তন্যপায়ীর প্রথম পদধ্বনি শোনা যাবার অল্প পরেই। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে চার্লস ডারউইন তাঁর 'অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস' ('On the Origin of Species')- বইতে প্রথম বললেন, পাখি বিবর্ধিত হয়েছে সরীসৃপ থেকে। এই মতবাদে তখনকার বিজ্ঞানীদের মধ্যে খুবই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু ডারউইনের বিতর্কমূলক মতবাদকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করল ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ব্যাভেরিয়ার লাঙ্গেনালথেইম অঞ্চলে একটি স্লেট-পাথরের খনি থেকে এক অদ্ভুত প্রাণীর জীবাশ্ম উঠে। মাথাটা গিরগিটির, চোয়ালে দাঁতের সারি, সরু লেজে অনেকগুলি চলনশীল কশেরুকা অনেকটা সরীসৃপের কঙ্কালের মতো এবং ডানার হাড়ের শেষ সীমানায় খুব সরু তিনটি নখরযুক্ত আঙুল। কিন্তু সেই জীবাশ্মে পরিণত প্রাণীটির পালক ছিল। তার চিহ্ন সুস্পষ্টরূপে বর্তমান এবং কাকের চেয়ে আকারে বড়ো ছিল না।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি