বাংলার উত্তরআধুনিক সাহিত্যচিন্তা
অঞ্জন সেন, উদয়নারায়ণ সিংহ, রাজীব চৌধুরী সম্পাদিত
প্রচ্ছদ : নন্দলাল বসু
বাংলার উত্তরআধুনিকতাকে পশ্চিমের পোষ্টমডার্নিজমের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে। কোথাও আমাদের 'উত্তরআধুনিক কাব্যাদর্শের পথিকৃৎ জাক দেরিদার' কথা বলা হচ্ছে (অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, সুন্দরের অভ্যর্থনা)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দেরিদার সঙ্গে বাংলার উত্তরআধুনিক সাহিত্য চেতনার কোনও সম্পর্ক নেই, বাংলার উত্তরআধুনিক সাহিত্য আলোচনায় দেরিদাকে কেউ সংশ্লিষ্ট করেননি। পশ্চিমের সাহিত্যতত্ত্ববিদ ফকেমা পশ্চিমের পোষ্টমডার্নিজম ও আমাদের উত্তরআধুনিকতার পার্থক্যটি দেখতে পেয়েছেন তার নির্বাচিত অংশ এই সংকলনের একটি নিবন্ধে উদ্ধৃত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে কিছু কবি, সমালোচকদের মধ্যে বাংলার উত্তরআধুনিক সাহিত্য চিন্তাকে পশ্চিমের পোস্টমডার্নিজমের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
এই গ্রন্থে যা যা আছে :
উত্তরআধুনিকতার বিপক্ষে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত'র চিঠি এবং সেইসব চিঠির বিপক্ষে অঞ্জন সেন-এর চিঠি, বীরেন্দ্র চক্রবর্তী'র চিঠি, অমিতাভ গুপ্ত'র চিঠি। উত্তরআধুনিক সাহিত্যচিন্তা বিষয়ক তত্ত্বকথা লিখেছেন বীরেন্দ্র চক্রবর্তী, উদয়নারায়ণ সিংহ, খোন্দেকার আশরাফ হোসেন, এজাজ ইউসুফী, বিবেক চট্টোপাধ্যায়, তপোধীর ভট্টাচার্য, প্রবাল দাশগুপ্ত, সৌমেন সেন, অমিতাভ চক্রবর্তী, সুজিৎ ঘোষ, কৃষ্ণাঞ্জন ভট্টাচার্য, অঞ্জন সেন, দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত, অচিন্ত্য মাজী। পোস্টমডার্নিজম ও উত্তরআধুনিকতার খোঁজ করেছেন সোমা মজুমদার পাল, সুজিত সরকার, তপোধীর ভট্টাচার্য, দিলীপ কুমার বসু। উত্তরআধুনিকতার বিষয়ে বাংলাদেশের নব্বই দশকের ছয়জন কবির আলাপচারিতা রহমান হেনরী, কবির হুমায়ুন, মুজিব মেহদী, জাফর আহমদ রাশেদ, মোস্তাক আহমাদ দীন, চঞ্চল আসরাফ। 'উত্তরআধুনিকতা' বির্তক করেছেন সালাহউদ্দীন আইয়ুব, সাজিদুল হক, তপন মিত্র, বিভাসকান্তি মণ্ডল, প্রদীপ সামন্ত, অর্ণব পণ্ডা, সেলিম মল্লিক।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.