বাশো-র হাইকু
অনুবাদ ও অনুষঙ্গ : পলাশ বরন পাল
কবিতা - এই যে নিজের প্রকাশকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করতে থাকা, এ ওদের কবিতাতেও দেখা যায়। তিন লাইনের কাব্য জগতের আর কোথাও নেই। এই তিন লাইনই ওদের কবি, পাঠক, উভয়ের পক্ষে যথেষ্ট। নমুনা দেখলে আমার কথাটা স্পষ্ট হবে। এদের পুরোনো কবিতার
ব্যাঙের লাফ,
জলের শব্দ।
বাস। আর দরকার নেই। জাপানি পাঠকের মনটা চোখে ভরা। পুরোনো পুকুর মানুষের পরিতাক্ত, নিস্তব্ধ, অন্ধকার। তার মধ্যে একটা ব্যাঙ লাফিয়ে। পড়তেই শখটা শোনা গেল। শোনা গেল এতে বোঝা যাবে পুকুরটা কী রকম স্তদ্ধ। এই পাজানো পুকুরের ছবিটা কী ভাবে বানর মধ্যে এঁকে নিতে হবে সেইটুকু কেবল কনি ইশারা করে দিলে, তার বেশি একেবারে -রবীন্দ্রনাথ জাপানযাত্রী'
----------
হাইকু জাপানের জনপ্রিরুমে কবিতা আঙ্গিক, আর সপ্তদশ শতাব্দীর কবি মাৎসুয়ো বাশো এখনো পর্যন্ত ডাইকুর সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি। এই মহাকবির। কীর্তির সঙ্গে বাঙালি পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই বই। এতে আছে বাশো-র চল্লিশটি হাইকুর অনুবাদ-মূল আপানি ভাষ্য, শব্দার্থ এবং টীকাটিয়নি সমেত। আর আছে হাইকু আঙ্গিক সম্পর্কে আংলাচনা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি