ভাগীরথী বাগমতী

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
কর্ণ শীল

মূল্য
₹350.00
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

ভাগীরথী বাগমতী 

কর্ণ শীল 

বাংলা ভাষায় "ইতিহাস" শব্দটি এসেছে ‘ইতিহ’ শব্দমূল থেকে, যার অর্থ ঐতিহ্য। এটি হলো একটি তৎসম শব্দ, অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত। ইতিহাস শব্দটির রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়- ইতহ + √অস্ + অ – যার অর্থ হলো "এমনটিই ছিল বা এমনটিই ঘটেছিল।"

  কিন্তু এমন শতসহস্র ঘটনা যা এমনটিই ছিল বা এমনটিই ঘটেছিল, সবটুকু ইতিহাসবিদের সত্যসন্ধানে ধরা পড়ে না, বাঁধা পড়ে না গবেষকের অনুসন্ধিৎসায়। আর এই যে সত্য আর অজানার মধ্যে যে পরিসর, সেখানেই প্রবেশ ঘটে কল্পনাবিলাসীর, কল্পকাহিনীর। রাজসিংহাসন থেকে আপামরের পথ, রণক্ষেত্র থেকে ভক্তিময় অবগাহন, যুগ থেকে যুগের অপর পাড়ে পৌঁছে যায় কল্পনাবিলাসীর চিন্তন। তার পথ নির্মাণ করে দেয় ইতিহাস, তার রথচক্রের বিনির্মাণ করে ইতিহাস। কিন্তু যখনই নব নব কল্পনার রঙে গড়ে ওঠে অলীক অপরূপ এক সাম্রাজ্য, ইতিহাস সন্তর্পণে সরে দাঁড়ায় সে কল্পপ্রাসাদের সিংহদরজার এক পাশে। এ বিশ্বের সে দৌবারিক, রাজপাটে তার অধিকার নেই, অধিকার নেই কল্পকথার রাজসূয়  যজ্ঞের ফল লাভ করার।

  এমনই এক সাম্রাজ্যের নাম ভাগীরথী ও বাগমতী। কখনও ইতিহাস, কখনও পুরাণ, কখনও বা প্রচলিত লোকগাথা একত্রে পরিব্রাজকরূপে পথ চলেছে সেই পরম সত্যেরও উর্ধ্বে পরাসত্যকে খুঁজে পাওয়ার জন্য, যাকে আমরা কল্পলোক বলি।

   একটি ইতিহাস নির্ভর হরর, একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস আর একটি ঐতিহাসিক উপন্যাসিকার সমাহার হলো #ভাগীরথী_ও_বাগমতী। 

টিজার ১

''জলতরঙ্গ বেজে ওঠার ঠিক শুরুতে যেমন সুরমূর্ছনা শোনা যায়, তেমন স্বরে রাজকুমারী বললেন,

-উপস্থিত রাজন্যবর্গকে আমার প্রণাম। আমি একটিমাত্র প্রশ্ন সবাইকে করবো। যিনি উত্তর দিতে পারবেন, তিনিই আমার এবং কাঞ্চননগরের স্বামী হবেন।একাধিক সঠিক উত্তরের ক্ষেত্রে পুনর্নির্বাচন হবে। উত্তরের সাথে ব্যাখ্যাও আবশ্যিক। 

   সবার শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এলো। সভায় অপার নৈঃশব্দ।

     প্রশ্ন এলো বাগদেবীর সঙ্গীতের মত,

         "শিরোপরি পৃথ্বী ধরি

          পৃষ্ঠে প্রিয় কৈটভারি,

           ভূষণ ডমরুধর,

           পর্বতেরে দন্ড করি

           সর্পে করি সহচরী

           বৈরী সহচর। "

অনন্তরাজ লাফ দিয়ে উঠে বললেন,

-এর উত্তর আমি জানি। ইনি অনন্তরাজ...থুড়ি, অনন্তনাগ।

      কৃষ্ণা চমকিত হলেন। এত শীঘ্র উত্তর তিনি আশা করেননি। তাঁর হাত থেকে পদ্মের কুঁড়িগুলি পড়ে গেল। তিনি কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন,

-ব্যাখ্যা করুন আর্য..

    অনন্ত বললেন,

- এ আর এমন কি? মাথায় করে পৃথিবীকে কে ধরেন? অনন্তনাগ। পিঠে কৈটভহন্তারক বিষ্ণু। তিনিই শিবের ..ডমরুধরের ভূষণ। মন্দর পর্বতকে তিনি দন্ড করে সমুদ্রমন্থন করেছিলেন। সর্প বা নাগদেবী তাঁর বোন বা সহচরী। আর সর্পকুলের বৈরী অর্থাৎ খগরাজ গরুড় তাঁর বান্ধব।

    কৃষ্ণার সখীগণ উলুধ্বনি করে উঠলো। লজ্জাবনতা রাজকুমারী অনন্তরাজের হাতে তুলে দিলেন স্বর্ণদর্পণ।"

  কৃষ্ণা - অনন্তরাজের প্রেমের পথের পথিক হতে চলেছে এক মহাপ্রেম। কোন সে মহাপ্রণয়? উত্তর আছে কর্ণ শীল বিরচিত 'ভাগীরথী ও বাগমতী ' গ্রন্থে।

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

সংশ্লিষ্ট বই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি