কালের আখর
প্রচ্ছদশিল্পী : নচিকেতা মাহাত
"কালের আখর" একটি ঐতিহাসিক উপন্যাসিকা সংকলন। কলম ধরেছেন চারজন লেখক --- প্রিয়াঙ্কা চ্যাটার্জী, শ্রীজিৎ সরকার, অঙ্কন মুখোপাধ্যায় এবং তন্ময় দেব।
১) দ্বাদশ শতকের শেষ ভাগ, ভারতের পশ্চিম উপকূলে রাজত্ব করছে প্রবল প্রতাপশালী সোলাঙ্কি রাজবংশ। সিংহাসনে বৃদ্ধ মহারাজ কুমারপাল। কেন মহারাজ কুমারপাল যোগীপুরুষ আচার্য হেমচন্দ্র সূরীর উপদেশ মানতে পারলেন না? সোলাঙ্কি রাজবংশের ভবিষ্যতে কি এর ছায়া পড়বে?
এর উত্তর পাওয়া যাবে প্রিয়াঙ্কা চ্যাটার্জীর ঐতিহাসিক আখ্যান 'উত্তরাধিকার'-এ।
২) ছায়াবাদ: হিন্দি সাহিত্য জগতের এক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সময়কাল। সে এক ছিল এমন এক যুগ—যখন বিশ্বরাজনীতিতে চলছে টালমাটাল, অর্থনৈতিক অস্থিরতা কম-বেশি প্রভাবিত করছে প্রায় প্রত্যেক রাষ্ট্রকেই; আর অবশ্যম্ভাবীভাবে, ভারতবর্ষের ভাগ্যাকাশেও ঘনিয়ে উঠেছে দুঃসময়ের মেঘ! অতিমারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্ব আর স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্মিলিত প্রভাব তছনছ করে দিচ্ছে সমাজের বহু বদ্ধমূল ধারণা।
এই কাহিনির মূল চরিত্র ছায়াবাদ বিপ্লবের অন্যতম কাণ্ডারি সূর্যকান্ত ত্রিপাঠি নিরালা। তাঁর চোখে দেখা হয়েছে তৎকালীন সমাজকে। তাঁর হাত ধরেই গল্প অগ্রসর হয়েছে সামনের দিকে।
তারপর?
বৈপ্লবিক চেতনা আর চিরাচরিত সমাজব্যবস্থার মধ্যে কে জয়লাভ করেছে শেষপর্যন্ত? কোন পরিণতিতে উপনীত হয়েছে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ আর সাংসারিক অপ্রাপ্তির দ্বৈরথ? শোক আর পরাধীনতার মধ্যে কে প্রতিপন্ন হয়েছে অধিক বলশালী হিসাবে?
জানতে গেলে পড়তে হবে শ্রীজিৎ সরকারের লেখা ঐতিহাসিক আখ্যান ‘নিরঞ্জন’।
৩) ভারতবর্ষের বণিক বাজারে তখন পর্তুগিজদের আধিপত্য। সমুদ্র তীরবর্তী প্রায় সমস্ত তরীঘাটে বাণিজ্য ঘাঁটি গড়ে তুলছে পর্তুগিজ বণিকরা। তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির কাছে ইংরেজ বণিকদের অবস্থা হয়েছে নাজেহাল। বারবার চেষ্টা করেও ইংরেজ বণিকরা ভারতে তাদের কুঠি নির্মাণের অনুমতি আদায় করতে পারল না ভারত সম্রাটের থেকে। হেক্টর ফিরে চলল স্বদেশের দিকে। এভাবেই কি স্বপ্ন ভেঙ্গ হবে ইংরেজ বণিকদের? নাকি ঘটবে কোনো আশ্চর্যজনক ঘটনা? যে ঘটনার উপর ভর করে ভারতের মাটিতে প্রথম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠি নির্মাণের অনুমতি লাভ করবে তারা?
জানতে হলে পড়তে হবে অঙ্কন মুখোপাধ্যায়ের লেখা ঐতিহাসিক আখ্যান 'অঙ্কুশ'।
৪) সমতট বাংলার একটি প্রাচীন ভৌগোলিক অঞ্চল। সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা এই অঞ্চলের ওপর অধিকার লাভের স্বপ্ন নিয়ে একের পর এক রাজবংশ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।
আর্যদের আধিপত্যে সেইসব রাজবংশ ও তাদের দ্বন্দ্ব, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ইতিহাসের পাতায় খুব একটা উল্লেখযোগ্য স্থান দখল না করলেও পরবর্তীকালে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থে এদের কথা বিচ্ছিন্নভাবে হলেও গ্রন্থিত হয়েছে।
তন্ময় দেবের 'নিষ্প্রভ জ্যোৎস্না' - সমতট অঞ্চলে রাজত্ব করা তেমনই এক রাজবংশের উত্থান ও পতনের কাহিনী। চক্রান্ত, প্রতিশোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, আনুগত্য এবং ভালোবাসারও কাহিনী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি