বিরল পৃথিবী
মণিশংকর বিশ্বাস
প্রচ্ছদ : রাজীব দত্ত
বিজ্ঞানচেতনা অথবা বিজ্ঞানমনস্কতার সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আহরিত ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্ক আজ অত্যন্ত ক্ষীণ। এক শ্রেণির উচ্চশিক্ষিত মানুষ, এমনকী তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রের সঙ্গে হয়তো বিজ্ঞানের নিবিড় যোগ আছে, যেরকম চিকিৎসাবিদ্যা, প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি, তাদেরও অনেককে দেখেছি, নানারকম অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বিশ্বাস করতে। এতে আজ আর আশ্চর্য হই না যখন দেখি, ইসরোর চেয়ারম্যান দাবি করছেন, মহাকাশবিদ্যার সবই পুরাণে আছে। অথবা পদার্থবিদ-সন্ন্যাসী বেদান্ত আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স যে মূলত একই তত্ত্ব, সেটা নিয়ে ‘থিসিস’ লেখেন। আধুনিক যেকোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, যে “ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত” একটি প্রাচীন বইতে আছে, সে-কথা যখন একজন প্রথিতযশা শিক্ষিত মানুষ বলেন, তখন বোঝা যায় কোথাও একটা বিরাট গোলমাল হচ্ছে। এসবই যে, প্রথমে বিজ্ঞানটা পড়ে নিয়ে অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলিকে তার মধ্যে ফিট করাবার আপ্রাণ চেষ্টা, সেটা যদি তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা না বোঝেন, তাহলে হতাশ হতে হয় বইকি! তবে এই বইতে কোনো অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে ‘ডিবাঙ্ক’ করবার চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু এই বই পড়ে যদি কেউ নানাবিধ প্রচলিত অন্ধ-বিশ্বাসকে প্রশ্ন করবার কথা ভাবেন, তাহলেই এই বইয়ের লেখক-প্রকাশক সকলেরই উদ্দেশ্য সফল হবে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি