তন্ত্রচর্যা
প্রথম খণ্ড: তত্ত্বদর্শন
সুরজ কুমার দাস
প্রচ্ছদ ছবি : অনির্বাণ রায়
প্রচ্ছদ রূপায়ণ : সন্তু দাস
তন্ত্র কথাটি আমাদের সকলের কাছেই সুপরিচিত। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে এই তন্ত্র স্থান করে নিয়েছে একটি জনরা হিসেবে। কিন্তু এই তন্ত্র বাস্তবে কী? তন্ত্রসাধনার উদ্দেশ্য কী?
এইসকল প্রশ্ন মানুষের মনে আসে, যখনই তন্ত্রের প্রসঙ্গ ওঠে। যদিও এই তন্ত্রের সকল শাখা ও তত্ত্ব নিয়ে কদাচিৎ কোথাও আলোচনা হয়েছে। যার ফলে তন্ত্রের সামগ্রিক স্বরূপ আজও মানুষের কাছে অধরাই থেকে গেছে। যার জন্য, এই তন্ত্রকে নিয়ে যেমন অপব্যাখ্যা করা, গালগল্প বানানো ও লোক ঠকানো সহজ হয়েছে, তেমনই তন্ত্রের মূলবিষয়বস্তু ক্রমশ চর্চার অভাবে লুপ্ত হতে শুরু করেছে।
আধুনিককালে অজস্র গবেষক এই তন্ত্র নিয়ে লেখালিখি করছেন। কেউ-বা লিখছেন কল্পকথা, কেউ-বা গবেষণা। কিন্তু এইসকল গ্রন্থেই তন্ত্রের মূল উপজীব্য তত্ত্বদর্শন তুলে ধরা হয়নি। হয় সেই তন্ত্রসংক্রান্ত গ্রন্থগুলি অহেতুক ভয়ভীতি আর রহস্য সঞ্চারিত করেছে পাঠকের মনে, অথবা তন্ত্রকে নিতান্তই শক্তিসাধনার মার্গ বলে নির্দেশিত করেছে পাঠকদের কাছে।
‘তন্ত্রচর্যা’ নামক এই গ্রন্থটি তন্ত্রশাস্ত্রের উৎপত্তি, বিকাশ, শ্রেণি, তন্ত্রের আচার তথা তন্ত্রের অন্তর্নিহিত মূল দর্শনকে সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছে। তিন খণ্ডে বিভাজিত উক্ত গ্রন্থটির মধ্যে এইটি প্রথম খণ্ড: তত্ত্বদর্শন। যেখানে সহজভাবে ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে তন্ত্রের মূল উপজীব্য দার্শনিক বিষয়, যেমন— অনুত্তর, ক্রান্তা, মাতৃকা, কুণ্ডলিনী, ষড়াধ্বা, ষট্ত্রিংশদাদিতত্ত্ব, কুল, আচার, তান্ত্রিক-গোত্র, আম্নায়, মন্ত্র, মন্ত্রাঙ্গ তথা কুল্লূকাদির তত্ত্বসমূহ।
বৈদিক শাস্ত্র হতে প্রত্যভিজ্ঞা দর্শন হয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সঙ্গে সমান্তরাল তুলনা করে এই গ্রন্থটি এক অতি আনকোরা পাঠককেও প্রদান করবে তন্ত্রমার্গের সম্যক তত্ত্বজ্ঞান তথা প্রচোদিত করবে তন্ত্র সাধনার মাধ্যমে অনুত্তরপদ লাভ করার পথে। উক্ত গ্রন্থটি তন্ত্র জনরা অন্তর্গত ফিকশন রচনাতেও এক আদর্শ সহায়িকার কাজ করবে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.