বড়ো হওয়ার দিন
মুকুল গুহ
(ছোটদের জন্য ইতিহাসের পটভূমিকায় উপন্যাস)
ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের যুগে সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে শিশু কিশোরদের জীবনযাপন।। কমপিউটার ল্যাংগুয়েজ যে জানতে পেরেছে, সেই এখন তথাকথিত সাক্ষর, বাকিরা নয়। তাই এর বিস্তার আজ সর্বব্যাপী। এই বিস্তারের প্রয়োজন শিশু-কিশোরদের মধ্যে অবশ্যই বেশি প্রকট হলেও বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছেও তার আবদার থাকে। সেই আবদার অস্বীকার করার উপায় নেই। একচক্ষু হরিণের মতন কেবলমাত্র কমপিউটার সায়েন্সের দিকে সর্বৈব মনোযোগ দিলে চলবে কেন। কারণ তা হলে প্রতিষ্ঠিত হবে 'ইয়ুজ অ্যান্ড থ্রো'-এর বিলাস।
এই বিস্তারের প্রয়োজনে বিলাস আর উল্লাস শিশু আর কিশোরদের মনে অকল্পনীয় প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। আর তাদের সেই প্রভাবই সম্ভবত স্বপ্নের উৎস। যাবতীয় ইতিবাচক ভবিষ্যতের ভিত্তি প্রস্তর উদ্ঘাটনের প্রসন্ন বিস্ময়। সেই স্বপ্নের উৎসকে অস্বীকার করার অর্থই হল দেওয়ালের লিখনকে অস্বীকার করা। মনে হয় সেই দায়বদ্ধতা আমাদের সকলের কাঁধেই ন্যস্ত রয়েছে। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞানের যে কোনও স্রোতোধারার মধ্যে সেই কৃতকর্তব্যের জন্যই আমরা দায়বদ্ধ। আর সেই কাজের দায়বদ্ধতা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনও পথই নেই। এই ধরাধামে প্রত্যেকেরই প্রত্যেকের সহায়তার প্রয়োজন। সেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বুঝিয়ে দেওয়াটাও জরুরি।
সেই 'বড় হওয়ার দিনগুলিতে' পিতার, মাতার, অভিভাবকদের পদচারণা এবং সঙ্কল্পই আলোচ্য গ্রন্থটির প্রতিপাদ্য বিষয়। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেই লেখকের সকল শ্রম সার্থক হবে।
লেখক পরিচিতি :
সাংবাদিক লেখক মুকুল গুহ মূলত গবেষক, বাংলা তথা ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের আলোচনাতেই তার চারিত্রিক স্ফূর্তি।
তার জন্ম ময়মনসিংহে, বড়ো হয়ে ওঠা রংপুরে (দুটোই বাংলাদেশে)। পড়াশুনা কার্সিয়াং, দার্জিলিং অল্প কলকাতায়।
দেশের এবং বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথি বক্তা হিসেবে অনেক সেমিনার সিম্পোসিয়ামে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। বিষয়- সাহিত্য, পরিবেশ দূষণ। সেই সূত্রে ভ্রমণ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইয়োরোপ আর অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে।
তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৫১। তার মধ্যে অন্যতম: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়িনী পূর্বজননীরা; একশো বছরের নিগ্রো কবিতা; বাংলা প্রকাশনার সেকাল একাল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.