কেশবচন্দ্র সেনের পত্রাবলি

(0 পর্যালোচনা)

প্রকাশক:
পত্রলেখা

দাম:
₹300.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

কেশবচন্দ্র সেনের পত্রাবলি

ভূমিকা ও সম্পাদনা : শম্পা ভট্টাচার্য 

কলুটোলার সেন পরিবারের ছেলে ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন। তিনি দেশহিতৈষী, ব্রাহ্মাধর্ম প্রচারক, সাহিত্যপ্রেমী, উদারচেতা, সমাজসংস্কারক। কেশব-কন্যা মণিকা মহলানবিশ নির্বাচিত এই চিঠিপত্র সংকলনে তাঁর এসব পরিচয় যেমন স্পষ্ট, তেমনি স্ত্রী-পুত্র-কন্যা ও পরিবারের অন্যদেরকে লেখা চিঠিপত্রে পিতা, স্বামী, পুত্র, বন্ধু হিসেবে ব্যক্তি কেশবচন্দ্রকে পাঠক নতুন করে আবিষ্কার করবেন এই সংকলনে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেনের ধর্মনৈতিক মতবিরোধ এই ঐতিহাসিক চিঠিপত্রে স্থান পেয়েছে। ব্রাহ্মসমাজের নানা নির্দেশ ও নীতি নিয়মের আলোচনাও বাদ যায়নি। ব্যক্তি কেশবচন্দ্রের হতাশা, ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান, আনন্দ, যন্ত্রণার উপলব্ধি এখানে ব্যক্ত। ইংলন্ডে থাকাকালীন তাঁর কর্মকাণ্ড, সে-দেশের প্রকৃতি, মানুষের ব্যবহার, ধর্মপ্রচারক হিসেবে খ্যাতনামা হয়ে ওঠার খুঁটিনাটি ইতিবৃত্ত আছে সংকলিত চিঠিপত্রে। সেদিক থেকে এই গ্রন্থটি উনিশ শতকের ইতিহাসের মূল্যবান দলিল।

কেশবচন্দ্র সেন (১৯.১১.১৮৩৮-৮.১.১৮৮৪) ছিলেন উনিশ শতকের ব্রিটিশ শাসিত ভারতের বাঙালি নেতা, রক্তা, ধর্মসংস্কারক, জাতীয় চেতনা উন্মেষের অন্যতম কাণ্ডারী। বর্ণপ্রথা বিলোপ, বিধবাবিবাহ প্রবর্তন, মদ্যপান বিরোধিতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়ের পথে তার দৃপ্ত ভাষণগুলি স্মরণীয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহীবিদ্রোহের বছরে তিনি ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে উপাধি দিয়েছিলেন 'ব্রহ্মানন্দ'। গুডউইল ফ্রেটারনিটি সভা স্থাপন (১৮৫৭), বঙ্গবিদ্যালয় (১৮৫৯), সঙ্গত সভা (১৮৬১) কলিকাতা কলেজ প্রতিষ্ঠা (১৮৬২), ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা তাঁর অন্যতম কীর্তি। তাঁর সম্পাদিত ও পরিচালিত পত্রিকাগুলির মধ্যে রয়েছে বামাবোধিনী পত্রিকা (১৮৬৩), ধর্মতত্ত্ব (১৮৭০), সুলভ সমাচার (১৮৭০), বালকবন্ধু (১৮৭৮), পরিচারিকা (১৮৭৮) ইত্যাদি।


এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.