বৌদ্ধ সাহিত্যে প্রেততত্ত্ব
বিমলাচরণ লাহা
বৌদ্ধধর্মের অভ্যুদয়ের বহু পূর্বে পরলোকগত পূর্বপুরুষদের অস্তিত্বে হিন্দুরা বিশ্বাস করতেন। হিন্দুদের এই চিরন্তন বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই। বৌদ্ধধর্মে প্রেতলোক-প্রেত বা আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছে। পরলোকে দুঃখদুর্দশার হাত থেকে মুক্তিলাভের জন্য সাধারণ বৌদ্ধধর্ম-বিশ্বাসীরা যাতে ইহলোকে সৎকর্ম পুণ্যকর্মে যুক্ত থাকেন- "এই উদ্দেশ্যেই প্রেত-সংক্রান্ত নানা কাহিনি বলা হত। এইসব উপাখ্যানের সবই প্রায় অবিশ্বাস্য, অবাস্তব। কিন্তু এই গল্পগুলি বুদ্ধের বাণীতে বিশ্বাসবান মানুষকে কাজে ও কথায় ধর্মভ্রষ্ট হতে দেয়নি। তাদের মানুষের প্রতি দয়ায় ও অহিংসায় অনুপ্রাণিত করেছে।
-----------------
লেখক পরিচিতি :
বিমলাচরণ লাহা (১২৯৮ বঙ্গাব্দ- মৃত্যু ২০ বৈশাখ ১৩৭৬ বঙ্গাব্দ)
কলকাতার বিখ্যাত লাহা পরিবারের সন্তান। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে পালি ভাষায় এম এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর উপাধি পান। বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম, আইন, প্রাচীন শ্লোকসমূহ, ইতিহাস, ভূগোল, সভ্যতা-সংস্কৃতি, জাতিতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর অসাধারণ জ্ঞান ছিল। এছাড়াও তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি, কলকাতার শেরিফ, এবং রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম বিষয়ে তাঁর অনেকগুলি গ্রন্থ আছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.