বুদ্ধ-কথা জৈন-কথা
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সৌমক পোদ্দার
গ্রন্থটির প্রথম পর্বে কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় বৌদ্ধগয়ার ইতিহাস-যেখানে লেখক একাধারে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, ঐতিহাসিক বিবরণ এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বৌদ্ধগয়ার অবস্থান বিশ্লেষণ করেছেন। গৌতম বুদ্ধের নির্বাণলাভের কেন্দ্রস্থল হিসেবে বৌদ্ধগয়া বিশ্ববৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক পবিত্র তীর্থভূমিতে পরিণত হলেও, এর রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বও ছিল অপরিসীম। অশোকের রাজত্বকাল থেকে শুরু করে গুপ্ত, পাল এবং সেন রাজবংশের শাসনামলে এই অঞ্চলের গুরুত্ব যে বহুমাত্রিকতায় বিকশিত হয়েছে, তার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা এখানে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে জৈন ধর্মের প্রেক্ষাপটে লেখক অনুধাবন করেছেন জৈন আর্য্যপট্ট-এর প্রত্নতাত্ত্বিক ও ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা। জৈন ধর্মের অহিংসা, কঠোর সংযম ও মুক্তিলাভের দর্শনের প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আর্য্যপট্টের অবস্থান বিশ্লেষণে তিনি তুলনামূলক গবেষণা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। জৈন ধর্মে চিত্রাঙ্কিত পট্ট বা প্রতীকী চিহ্নের ব্যবহার এবং তার সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় তাৎপর্য এই গ্রন্থে সুগভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি