রাণী ভবানী
অক্ষয় কুমার মৈত্র
প্রতিভাশালী সাহসী বুদ্ধিমতী শাসনকত্রী হিসেবে রাণী ভবানী চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। জমিদার আত্মারাম চৌধুরীর কন্যা রাণী ভবানীর জমিদারী ছিল রাজশাহী জেলায়।
সেকালে এত বিস্তৃত জমিদারী আর ছিল না বললেই চলে। তাঁর সময়কালে ওয়ারেন হেস্টিৎসের নেতৃত্বে বাংলায় একে একে সব জমিদারী ইংরেজ শাসনের অধিকৃত হয়ে যাচ্ছিল-সে সময় রাণী ভবানী সুকৌশলে তাঁর জমিদারী রক্ষার প্রচেষ্টা চালান।
প্রজাবৎসল, সাহসী, বিচক্ষণ রাণী ভবানীর অজস্র অক্ষয় কীর্তি তাঁকে ঐতিহাসিক চরিত্রে পরিণত করেছে।
অক্ষয়কুমার মৈত্র দলিল দস্তাবেজ ও নথিপত্র ঘেঁটে রাণী ভবানীর এই ইতিহাস-নির্ভর জীবনীটি উপস্থাপিত করেছেন।
লেখক পরিচিতি :
প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবেত্তা ও সমাজকর্মী অক্ষয়কুমার মৈত্রের (জন্ম ১ মার্চ ১৮৬১-১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০) পেশায় বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তৎকালীন আইনজীবী ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার (বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার) মিরপুর থানার শিমুলিয়া গ্রামে মায়ের মামার বাড়িতে তার জন্ম। তিনি বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইতিহাস, শিল্পকলা ও পটশিল্প সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। ১৮৯৯ সালে সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাসিম, রানী ভবানী, সীতারাম, ফিরিঙ্গি বণিক প্রমুখ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতিহাস বিষয়ক প্রথম বাংলা ত্রৈমাসিক পত্রিকা ঐতিহাসিক চিত্র প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গদর্শন, সাহিত্য, প্রবাসী বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতেন।
১৯০৪ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি এবং ১৯১১ সালে বিশিষ্ট সদস্য নির্বাচিত হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে আধুনিক বাংলা লেখকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় গণ্য করতেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি