বুদ্ধজায়া
গীতালি বরা
অনুবাদ : নন্দিতা ভট্টাচার্য
বুদ্ধদেব এই উপন্যাসের নায়ক নন। তাঁর জীবন পরিক্রমা এই বইয়ে নেই। 'বুদ্ধজায়া' সর্বকালের উপেক্ষিত নারীদের যাতনা, ত্যাগ, মায়া এবং শক্তির কাহিনী যা বুদ্ধদেবের সমকালীন সমাজের কিছু তৎকালীন নারী চরিত্রের মধ্যে দিয়ে প্রতিভাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। 'বুদ্ধজায়া'তে সমকালীন সমাজের অনেক চরিত্রই চিত্রায়িত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে উন্মোচন করার চেষ্টা করা হয়েছে মানব জীবনের সনাতন বোধগুলোকে এবং অলঙ্ঘ্য নিয়তিকে। দু-একটা কাল্পনিক চরিত্রও সংযোজিত হয়েছে।
বুদ্ধের জীবন বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যায় (যদিও একাধিক তথ্যে পাঠককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করা হয়েছে)। তাঁর মাহাত্ম্য, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং সম্মোহনি প্রজ্ঞার অনেক প্রচলিত কাহিনী রয়েছে। আবার এটাও সত্যি- সমাজের একটি বিরাট ক্ষমতাশালী অংশ বুদ্ধ বিরোধী ছিল। সেইজন্যেই ইক্ষাকু বংশীয় শাক্যকুল ধ্বংসের পথে এগিয়েছিল। আর্যাবর্তের একদল কর্মবর্তী, তীক্ষ্ণধী রাজপুরুষ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাজকার্য থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। বাস্তুহারা, গৃহহীন হয়ে পড়েছিল অনেক নারী, বৃদ্ধ এবং শিশু।
'বুদ্ধজায়া'তে মানুষ বুদ্ধদেব সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উন্মেষ রয়েছে। বুদ্ধকে ভগবানরূপে মেনে নেয়ার বিপরীতে 'মানুষ বুদ্ধ' কে আঁকা হয়েছে- যে প্রশ্নেরও উর্ধ্বে নয়, ত্রুটিরও উর্ধ্বে নয়।