চা-কুলীর আত্মকাহিনী
শ্রীযোগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়
“চা-কুলীর আত্মকাহিনী” কাল্পনিক উপন্যাস নহে, প্রকৃত সত্যঘটনা-মূলক কাহিনী; সুতরাং প্রকৃত মনুষ্যজীবনে এরূপ ঘটনা সমাবেশ বড়ই বিস্ময়জনক বলিয়া আমি ইহাকে লিপিবদ্ধ করিয়াছি। তবে অধিকাংশস্থলে নাম ও ধাম প্রভৃতি আমায় পরিবর্ত্তন করিয়া লইতে হইয়াছে, তাহার কারণ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। সুতরাং যে চা-বাগান ও যে সকল কর্ম্মচারীদিগের নাম এস্থলে এই কাহিনীতে বর্ণিত হইয়াছে, তাহা প্রকৃত নহে; কিন্তু ঘটনা সকল প্রকৃত। আমি প্রকৃত নাম ও ধাম গোপন করিয়া কাল্পনিক নাম ও ধাম ব্যবহার করিয়াছি। —শ্রীযোগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়
—কেমন ছিল ভারতবর্ষে চা-চাষের শুরুর দিনগুলি?
—কেমন ছিল চাকুলিদের যন্ত্রণা?
আমরা তার খোঁজ রাখি না। তবে আজ বোধহয় একটু পিছনে ফিরে দেখার সময় এসেছে। আমরা ফিরে যাব অতীতে। অতীত খুঁড়ে দেখবার চেষ্টা করব চা-কুলিদের অমানুষিক দুর্দশার দিনগুলি। অবশ্য আমাদের বয়ানে নয়। একজন চা-কুলির বয়ানে। আর এই ফিরে দেখায় আমরা স্মৃতি সাক্ষ্য হিসেবে পুনর্বার দেখে নিতে চাইব একটি গ্রন্থকে। গত শতকের উল্লেখযোগ্য লেখক শ্রী যোগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় লিখিত ‘চা-কুলীর আত্মকাহিনী’।
চা-বাগানের শ্রমিক সংগ্রহের জন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আড়কাঠি সম্প্রদায় তৈরি হয়েছিল। যারা প্রলোভন দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে আসামের চা-বাগানে পাঠাত। আর আমাদের গ্রন্থিত এই কাহিনির সূচনা, চলন এই আড়কাঠি কর্তৃক ফাঁদ ও তার পরবর্তী শ্রমিক জীবনের দুর্দশার আখ্যান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.