বই : পশ্চিমবঙ্গের পীঠস্থান
লেখক : আশিস কুমার চট্টোপাধ্যায়
পীঠ কথাটির সাধারণভাবে অর্থ হল আসন। সেই হিসাবে যে কোনও মন্দিরকেই দেবতার পীঠ বলা যেতে পারে। কিন্তু পীঠস্থান বলতে বিশেষ করে সেই জায়গাগুলিই বোঝায় যেখানে শাস্ত্র-বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দক্ষযজ্ঞে পিতা দক্ষের মুখে পতি অর্থাৎ শিবের নিন্দা শুনে সতীর দেহত্যাগের পর শোকে ক্ষোভে উন্মত্ত শিবের সতীর মৃতদেহ নিয়ে বিশ্বপরিভ্রমণের সময় জগৎ রক্ষার্থে বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে কর্তিত সতীর দেহখণ্ড (বা অলঙ্কার) পড়েছিল। অনেক সময় কোনও বিখ্যাত সাধকের সাধনার স্থানে অবস্থিত দেবী মন্দিরকেও পীঠস্থান হিসাবে প্রচার করা হয়, যদিও ঐগুলি প্রকৃতপক্ষে সাধনপীঠ বা সিদ্ধপীঠ, সতীপীঠ নয়, এবং সেগুলি এই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত নয়।
পীঠস্থানগুলির অবস্থান নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মতানৈক্য আছে। আলোচনা করতে গেলে সবসময়ই কোনও নির্দিষ্ট তালিকা অনুসরণ করতে হয়। এখানে প্রধানত তিনটি ক্লাসিকাল তালিকা (পীঠনির্ণয় তন্ত্র, তন্ত্রচূড়ামণি ও শিবচরিত) এবং কখনও কখনও চতুর্থ একটি তালিকার (জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বাঙ্গালা ভাষার অভিধান) সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই চারটি তালিকার মধ্যে আবার পীঠনির্ণয় তন্ত্রকে অবলম্বন করেই এই আলোচনাগুলি করা হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.