দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলসম্পদ
সূরজ দাশ
পশ্চিমবঙ্গে আয়তন ও লোকসংখ্যা উভয় দিক দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা একটি ছোটো জেলা। তবে অনেক নদ-নদী ও খাড়ি এবং অসংখ্য প্রাচীন বৃহৎ দিঘি এই জেলাকে দিয়েছে অন্যান্য জেলা থেকে স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থান। নদীগুলির মধ্যে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন অবশ্যই পড়ে বৃহৎ নদীর পর্যায়ে। একসময় উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ নদী ছিল ত্রিস্রোতা বা তিস্তা যা তিনটি স্বতন্ত্র স্রোতে বা শাখা নদীতে বিভক্ত ছিল বলে তার তার নামকরণ হয়েছিল ত্রিস্রোতা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে অনেকগুলি বৃহৎ প্রাচীন দিঘি। পশ্চিমবঙ্গের আর কোনজেলায় পাওয়া যাবে না এতগুলি দিঘির সমাবেশ। প্রাচীন কালে এবং মধ্যযুগে রাজা এবং সুলতানরা মনে করতেন দিঘি খনন হচ্ছে অন্যতম প্রধান এবং মহৎ জলকল্যাণকর। এই সমস্ত দিঘি ছাড়াও আরও অনেক মাঝারি ও ছোটো আকারের দিঘি, পুকুর, জলাশয় প্রভৃতি খনিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন গ্রামে। এই দিঘি, পুকুর, জলাশয় ও নদীগুলি নিয়ে দীর্ঘকালব্যাপী সমীক্ষা করে বিস্তৃত বিবরণ সংকলন করেছেন শ্রী সূরজ দাশ। তিনি রচনা করেছেন জেলার জলসম্পদের বিস্তৃত ও বিশ্বস্ত বিবরণ। পুরোনো পুকুর ও দিঘিগুলিকে কেন্দ্র করে প্রচলিত হয়েছে নানা কিংবদন্তিমূলক কাহিনি। এইসব কাহিনি পুকুর ও দিঘিগুলির প্রাচীনত্বের দ্যোতক। এই কাহিনিগুলিও সংগ্রহ করে শ্রী দাশ স্থান দিয়েছেন তাঁর বিবরণে।
লেখক পরিচিতি :
বর্তমান সময়ের কবি ও সমাজকর্মী সূরজ দাশ জন্মগ্রহণ করেছেন আসামের রঙ্গিয়ায়। বেড়ে উঠেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাস্থিত হিলি থানার অন্তর্গত বিনশিরা গ্রামে। ১৯৯৭ সালে বালুরঘাট মহাবিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ সম্পন্ন করার পর পুরো সময় অতিবাহিত করেন আধুনিক কবিতা চর্চায়। কবিতাযাপনে মুক্তির স্বাদ অনুভব করেন তিনি। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ১। আত্রেয়ীর ঠোঁট (২০০৬) ২। জিরো ওয়াটের হা-হুতাশ (২০১২) ৩। অশ্বক্ষুরাকৃতি বেহালা (২০১৭) ৪। দগ্ধ করো আগুন (২০২২)। 'উত্তরের রোববার' মাসিক সাহিত্য পাঠের আসরের একজন কর্মী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.