দেশভাগের গল্প : ত্রিপুরা
সম্পাদনা : বিমল চক্রবর্তী
ব্রিটিশ ভারতের মানচিত্রে ত্রিপুরার অবস্থান ছিল একটি দেশীয় রাজ্য। উনিশশো সাতচল্লিশে ইংরেজ শাসনের অবসানে রাজন্য ত্রিপুরা ভারত ডোমিনিয়নে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরা ভারতভুক্ত হয় এবং সেই সঙ্গে অবসান ঘটে পাঁচ শতকের মাণিক্য রাজবংশের আমল।
কিন্তু ১৯৪৬ সাল থেকে ত্রিপুরায় পূর্ববাংলার (বর্তমানের বাংলাদেশ) উদ্বাস্তুর স্রোত বসতির আঁচড় কাটতে শুরু করে। ত্রিপুরায় উদ্বাস্তু মানুষের আর্থসামাজিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর। ঘনীভূত হয় ভূমি-সংকট। অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের সংকট।
১০৪৯১ বর্গ কিলোমিটার ভূমিতে উদ্বাস্তু চাপ এতটাই প্রবল হয় যে এই অঞ্চলের জনজাতিরা ভূমির জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। বিদেশি বিতাড়নের ডাক দেয়। ফলে ত্রিপুরায় দেশভাগের যন্ত্রণা পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ এবং পাঞ্জাবের যন্ত্রণা থেকে পৃথক। এই পৃথক যন্ত্রণার কথা উঠে এসেছে এ রাজ্যের ছোটগল্পে। বিস্তৃত হয়েছে দেশভাগের যন্ত্রণা, হাহাকার। যার স্বরূপ ত্রিপুরার প্রেক্ষিত থেকে আলাদা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি