৭৩ এ তখন তিনি ইস্টবেঙ্গলের কোচ, মাঠের অনুশীলনের সময় খেয়াল করলেন টিমের অন্যতম স্তম্ভ সুভাষ ভৌমিক প্রয়োজনের তুলনায় কম পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন, এটার সমাধান করতে পিকে স্ত্রী আরতিকে অনুরোধ করলেন তাঁর দুই মেয়ের টিফিনের বরাদ্দ কমিয়ে সেখান থেকে কিছুটা অংশ সুভাষের জন্য রাখতে!
বাহাত্তরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়ে দুরন্ত খেলছেন গৌতম সরকার। পিকে একদিন খেলাচ্ছলে তাঁর বাড়িতে খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন, গৌতমের বাড়িতে খেতে গিয়ে পিকে বুঝলেন খাবারের বিশেষ আয়োজনের জন্য পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চাইতে হয়েছে গৌতমকে। অশ্রুসজল চোখে গৌতমকে কাছে ডেকে বলেছিলেন : " চল আজকের দিনটা আমরা গুরু শিষ্য দুজনেই আজীবন মনে রেখে দিই। আর এটাই তোকে মাঠে সর্বদা তাড়া করে বেড়াক যে, তুই প্রতিজ্ঞা করবি যে এর পরের খেলাটা মাঠে এমন খেলব যে সেই খেলার জোরে প্রচুর রোজগারের টাকায় প্রদীপদাকে একদিন ফাইভ স্টার হোটেলে নেমন্তন্ন করে ডিনার খাওয়াব." একথা শুনে পিকের সাথে গৌতম ও তাঁর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও তখন কাঁদছেন।
পিকে ছিলেন ভারতের অলিম্পিক ফুটবল দলের অধিনায়ক, ৬২ র এশিয়াড জয়ী দলের অন্যতম সদস্য এবং শেষবারের মত দেশকে এশিয়াড পদক এনে দেওয়া কোচ। এছাড়া কলকাতার ক্লাব ফুটবলের সফলতম প্রশিক্ষক তো বটেই যাঁর গোটা জীবনটা ই একটা মোটিভেশন, ডিসিপ্লিন এবং ম্যানেজমেন্ট দিয়ে মোড়া। গৌতম ভট্টাচার্য এবং সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় পিকে ব্যানার্জি কে নিয়ে লেখা একমাত্র বই "গুরু". প্রকাশের পরেই অতিক্রম করেছে দুটি সংস্করণ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.