হারানো পেশা, পুরানো গান
সোনালী ইসলাম
স্মৃতি সতত সুখের, এরকম হয়তো হয় না আমাদের। সুখের সঙ্গে মনখারাপিয়া সুরও কখনো কখনো বেজে ওঠে বই কী! আর এইসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে মনের আয়নায় ভেসে ওঠে নস্টালজিয়া। আমাদের মধ্যে যারা ষাটোর্ধ্ব তাদের স্মৃতিতে বয়ে চলেছে বেশ কিছু মণি-মুক্ত সংবলিত সময়কথা। বাস্তবিক জীবনে, জনজীবনের মধ্যে থাকা এইরকমই বেশ কিছু পেশা এবং সেই পেশার মানুষদের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের পরিচয় ঘটল না সেইভাবে।
যেমন, রোজ সূর্যোদয়ের আগে যে ভিস্তিওয়ালা চামড়ার মশকে জল এনে রাস্তা ধুয়ে দিয়ে যেত, কিংবা নীলচে-সবুজ চোখের যে কাশ্মীরি লোকটা কাপড়ের ঝোলায় করে নিয়ে আসত রং-বেরঙের শাল, আবার যার মখমলের বটুয়ায় থাকত আখরোট, পেস্তা, বাদাম অথবা প্রত্যেক সন্ধ্যায় গরম প্যাটিস-কেক-পেস্ট্রি নিয়ে আড্ডা দেওয়া সেই অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান লিজামাসিরা... এইরকম কাছের মানুষগুলো তাদের হরেকরকম পেশা-সহ হারিয়ে গেছেন কালক্রমে অথবা তাঁরা বিলুপ্তির পথে। হারানো পেশার সূত্রপাত এখান থেকেই।
আবার আড্ডায় ও অবসর সময়ে গান শোনার সূত্রপাত। কোনো মজলিসে সারা রাত ধরে টপ্পা-ঠুমরি-গজল শোনা। সেইসময় থেকে নানান সময়ে টেকনোলজিকে ভিত্তি করে নানান যন্ত্র ঘুরে, এখন গান এসে ধরা দিয়েছে হাতের মোবাইল ফোনে কিংবা গুগল প্লে-স্টোরের বিভিন্ন অ্যাপেতে। গানের এই যাত্রা নিয়ে লেখা পুরানো গান।
একজীবনে যা যা দেখা হল, শোনা হল, অভিজ্ঞতা হল সেটা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া। বলা যায়, এক ঐতিহাসিক দলিলের সাক্ষী বহন করছে সোনালী ইসলামের ‘হারানো পেশা, পুরানো গান।’
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.