মেরুর প্রার্থনা : বিষুবের উত্তর
প্রবাল দাশগুপ্ত
চিন জাপান কোরিয়ার বিয়াল্লিশজন -ঐতিহাসিকের যৌথ চেষ্টায় তিন দেশের আধুনিক যুগের এক বিদ্যালয়পাঠ্য ইতিহাস 'যে ইতিহাস ভবিষ্যতের দরজা খুলবে' শিরোনামে যুগপৎ চিনে, জাপানি আর কোরিয়ান ভাষায় রচিত হয়েছে। সেটার একমাত্র অনুবাদ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে, নিরপেক্ষ ভাষা এসপেরান্তোয়। হিংসায় উন্মত্ত মেরুকৃত পৃথ্বীতে সকলের হয়ে সাংস্কৃতিক লড়াই লড়বার যে মনের জোর ১৮৮৭ সাল থেকে এসপেরাস্তোভাষীরা দেখিয়ে এসেছেন, তার একটা ঠিকানা এজপেরান্তো কবিদের মৌলিক রচনা। আরেকুর মনোযোগ্য জায়গা ভাষার সঙ্গে গণিতজিজ্ঞাসার সেই সেতুছল।
যেখানে দাঁড়িয়ে সুধীবৃন্দ বুঝতে ভাইছেন, গোডেল-এর তত্ত্ব, কিংবা অধিভাষা (metalanguage). কিংবা কমল মজুমদারের গদ্যরীতির মতো আপাত অসংলগ্ন বিষয় নিয়ে না ভাবলে গণতন্ত্রের মিত্রদের কেন চলবে না। বিষয়বৈচিত্র্য ছাপিয়ে ওঠে এ বইয়ের মূল সুর। যদি বহুদিনোর দলাদলির অভ্যেস থেকে বেরিয়ে এসে অপক্ষপাতী বাংলা শেখেন, সেটাও একরকম এসপেরান্তো শেখা, নিরপেক্ষতার জমি তৈরি করা। পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিরপেক্ষ হতে, নিজের দল নিজের বৃত্ত ছেড়ে বেরিয়ে আসতে, কেউই পারে না। কিন্তু দলাদলি ধামিতে নিরপেক্ষ অঙ্গণ নির্মাণ করতে যে সমাজ বিছুতেই রাজি হবে না তার গণতন্ত্রের দুর্দিন দূরপনেয়।
লেখক পরিচিতি :
জন্ম ১৯৫৩। ভাষাতত্ত্বের আ ছিলেন কলকাতা আর পুণেতে। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বাক্যতত্ত্ব বিষয়ক ডক্টরেটের কাজ জমা দেন-১৯৮০তে। ভাষ্যতও পড়ান কলকাতার ইন্ডিয়ান, স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটে, আগে পড়িয়েছেন নিউ ইয়র্কে, মেলবনে, পুরেতে, হায়দ্রাবাদে। মার্কিন ভাষাতাত্ত্বিক সমিতির সাম্মানিক সদস্য (২০০৪-)) বিশ্ব এসপেরান্তো সংস্থার সভাপতি (২০০৭-২০১৩)। প্রথম প্রবন্ধের বিষয় ছিল শড়বিধান। আর সঞ্জননী ধ্বনিতত্ত্ব। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখ্য কথার ক্রিয়াকর্ম, দি আদারনেস আর্লী ইংলিশ, আফটার এটিমোহর দি ইনহ্যাবিটা হিউম্যান ল্যাঙ্গুয়েজেস, ছিন্ন কথায় সাজিয়ে তরণী, ভাষার বিন্দুবিসর্গ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.