হাতের পাঁচ
সৌরভ মিত্র
মানুষ আসলে গাছের মতো। তারও শিকড় থাকে। যেখানে যেমন জল-মাটি পায়, যতটুকু রোদ, যতটা বাতাস— যত্নে-অযত্নে চেতনে-অবচেতনে সেভাবেই বেড়ে ওঠা। যখন যা পায়, যেটুকু পায়, নিজের শিকড়ে আঁকড়ে ধরে। কিন্তু, সবটুকু কি ধরা দেয়? হয়তো দেয়, হয়তো বা...
তবু কোনো এর অলীকপুরের উদ্দেশ্যে চলতে চলতে দিনের শেষে কোনো এক নির্জন পান্থশালায় দুদণ্ড জিরিয়ে নেওয়া সময় খুঁজে দেখতে চায় তার আজীবনের সঞ্চয়।...
এসব সাধারণের মেঠো কাব্য কবেই বা ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছে! কালের সুরম্য প্রাসাদেও তারা অবাঞ্ছিত। তাদের বেঁচে থাকা কোনো এক গুণিনের কুঁড়েঘরে, বেশ্যাপল্লিতে, গঙ্গার ঘাটে, গেঁয়ো মাজারে, পঞ্চানন্দের মন্দিরে, হয়তো বা শ্মশানের নিস্তব্ধতায়। সেই ফাঁকে যার যতটুকু সঞ্চয়, ততটুকুই তার হাতের পাঁচ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি