শাক্ত দর্শণ ও দশ মহাবিদ্যা
অর্ঘ্য দীপ্ত কর
দশ মহাবিদ্যা নিয়ে আমাদের মনে অজস্র প্রশ্ন। কালী কেন শবারূঢ়া? কেন তিনি মহাকালের সঙ্গে বিপরীতরতাতুরা? স্মার্ত ধর্মে যা সর্বদাই বর্জনীয় বলে বিবেচিত, সেই পঞ্চমকার কেন মহাবিদ্যা তারার সাধনায় অপরিহার্য? কাম যদি রিপু হয়, ত্রিপুরসুন্দরী স্বয়ং কেন কামরূপিণী কামেশ্বরী? ছিন্নমস্তা রূপটি কেন? কেন তিনি মহাবিদ্যাদের মধ্যে উগ্রতমা? ধূমাবতী বিধবা কেন? যাঁকে আমরা সুখদায়িনী মঙ্গলময়ী বলে জানি, কেন তিনি সমস্ত অমঙ্গলের প্রকটমূর্তি হয়ে কাকধ্বজ রথে বিরাজ করেন?
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে তন্ত্রোক্ত ক্রিয়াসমূহের মধ্যে সমাহিত জ্ঞানকাণ্ডটি বোঝা অত্যন্ত আবশ্যক। মহাবিদ্যাদের মন্ত্র, যন্ত্র, সাধনতত্ত্ব প্রভৃতি গুহ্যাতিগুহ্য বিষয়; অতএব গুরুপরম্পরার বাইরে প্রকাশ্য নয়। তবে এ কথাও সত্য যে তন্ত্রশাস্ত্র ও শাক্তদর্শনের এই মৌলিক তত্ত্বগুলো গুপ্ত হতে হতে আজ লুপ্ত হওয়ার পথে। ফলত মূলস্রোতীয় সংস্কৃতিতে তন্ত্র চিরকালই ভীতিপ্রদ ও বিকৃত রূপে উপস্থাপিত হয়ে আসছে।
এই কারণেই 'শাক্ত দর্শন ও দশমহাবিদ্যা' বইটি লেখা। মহাবিদ্যাদের ধ্যানমূর্তি, উপাখ্যান, স্বরূপতত্ত্ব ও মূর্তিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তন্ত্রনির্ভর শাক্তদর্শনের আলোকে, যাতে প্রত্যেক মহাবিদ্যাকে তাঁর নিজস্ব সাধনধারাগত দার্শনিক পরিপ্রেক্ষিতে রেখে সঠিক ভাবে চেনা যায়। মন্ত্র প্রভৃতি গোপনীয় তত্ত্ব প্রকাশ না করেও চেষ্টা করেছি যাতে মহাবিদ্যা সাধনা সংক্রান্ত প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাগুলো কিছুটা হলেও দূর করা যায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.