ইংরাজ-বর্জ্জিত ভারতবর্ষ
(এক ফরাসি ঔপন্যাসিকের অবিস্মরণীয় পর্যটনের স্মরণীয় অনুবাদ)
পিয়ের লোটি
অনুবাদ : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভূমিকা : সুদীপ্ত মুন্সী
ফরাসি ঔপন্যাসিক পিয়ের লোতি (অনুবাদ গ্রন্থটিতে অনুবাদক লিখেছেন পিয়ের লোটি) ভারতে আসেন ১৮৯৯-১৯০০ সালে। ফরাসি নৌবাহিনীর এক লেফটেন্যান্ট হওয়ার সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। গিয়েছেন জাপান, মিশর, আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশেও। ভারতে এসে ত্রিবাঙ্কুর, শ্রীরঙ্গম, মাদ্রাজ, জয়পুর, হায়দরাবাদ, পন্ডিচেরী, দিল্লি, বারাণসী ইত্যাদি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন তিনি। সেই ভ্রমণ কাহিনি প্রকাশিত হয় L'Inde (Sans les Anglais) নামে ফরাসি ভাষায়। এই বইয়ের বাংলা ভাষান্তর করেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ইংরাজ-বর্জিত ভারতবর্ষ' নামে। অনূদিত বইটি প্রকাশিত হয় ১৯০৯ সালে। লোতির ভ্রমণ কাহিনি শুধুমাত্র একজন পর্যটকের ঘুরে বেড়ানো ও দেখার সমন্বয় নয় কোনওভাবেই। মানুষের জীবন-জগৎ সম্পর্কে যে ধারণা, যে দার্শনিকতা তাঁর মধ্যে ছিল তারই পূর্ণ প্রকাশ রয়েছে এই বইটিতে। ভারতীয় রাজাদের, নবাবদের বৈভবের পাশাপাশি, স্থাপত্যের সূক্ষ্মতর বর্ণনার পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় বর্ণনা করেছেন তৎকালীন দুর্ভিক্ষও। এদেশের ধর্ম ও ধর্মাচরণ অনুভব করার তীব্র আকর্ষণে ঘুরে বেড়িয়েছেন দক্ষিণের মন্দির থেকে মন্দিরে, পুরীর মন্দিরে, বারাণসীর ঘাটে। বুঝতে চেয়েছেন ভারতীয় ধর্ম ও দর্শনের স্বরূপ, তুলনায় বারবার অন্য ধর্মের প্রসঙ্গও এনেছেন। সেই সঙ্গে এঁকেছেন সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনযাপনের ছবিও। ইংরেজদের প্রতি তাঁর বিরাগ প্রকাশ পেয়েছে এই লেখায় যার প্রধান উদাহরণ বইটির নামকরণ থেকেই খুঁজে পাওয়া যাবে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদে লোতির লেখা শুধু বাংলা ভাষায় রূপান্তরিতই হয়নি, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ লোতির লেখাকে মাধুর্যের এক অনন্য গঠন দিয়েছেন। এই বই তাই অনেক দিক থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হয়ে উঠেছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.