যখন ছায়া ঘনায়
শঙ্কর চ্যাটার্জী
প্রচ্ছদশিল্পী : সৌম্যদীপ গুঁই
সেই সময় একটা অস্পষ্ট শব্দ কানে এসে লাগল। তারপরেই জলের ছপ্ ছপ্ আওয়াজ শুনে সে পুকুর ধারের জানালাটার সামনে এসে দাঁড়ায়। সবিস্ময়ে দেখে, একটা গোসাপ জল থেকে ডাঙায় উঠে আসছে। জানালা দিয়ে পড়া আলোতে গোসাপের লাল জিভটা লকলক করে বেরোচ্ছে। তাদের পুকুরে গোসাপ আছে সে জানত না। চার হাত লম্বা গোসাপটা জানালার দিকেই এগিয়ে আসছে। ও সভয়ে জানালা থেকে পিছু হটে। গোসাপটা জানালায় ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। লালচে জিভ দিয়ে জানালার লোহার গরাদটা চাটছে! ও ভয়ার্ত মুখে দেখে, সাপটার কাঁধের কাছ থেকে সামনের পা পর্যন্ত বিরাট ক্ষতের চিহ্ন! সেই ছোট্ট টিকিটিকিটার মতো।
সে বুঝতে পারছে না, কী করে অদ্ভুতভাবে টিকটিকিটা ধীরে ধীরে গোসাপে রূপান্তরিত হল? মনে হয় তার ছুরির আঘাতে কোনও বিশেষ কোষ কেটে যাওয়ার ফলেই এই পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু এর পরেও যদি আরও পরিবর্তন ঘটে? কথাটা মাথায় আসতেই ও আর্তনাদ করে ওঠে। বাড়ির লোক ঘরে আসার আগেই গোসাপটা পুকুরের জলে অদৃশ্য হয়ে গেল। ওর কথা শুনে সবাই হাসল। এ আবার হয় নাকি? নিশ্চয়ই পড়াশোনার চাপে মাথা গরম হয়ে গিয়ে ভুল দেখেছে। তা ছাড়া, পুকুরে মাঝে মাঝে মাছ ধরতে জাল পড়ে। অত বড়ো গোসাপ থাকলে অন্য কেউ দেখতে পেত না!
তারপর?.......
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি