জন্ম-মৃত্যুর রহস্যকথা
স্বামী বেদানন্দ
আমাদের পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের মনে প্রতি মুহূর্তেই জন্ম ও মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আমরা কোথা থেকে জন্মগ্রহণ করলাম? জন্মের আগে আমরা কোথায় ছিলাম? কেন জন্ম নিয়ে জীবাত্মা সুখ ও দুঃখ ভোগ করছে? দেহত্যাগের পর জীব কোথায় যায়? দেবযান ও পিতৃযান কী? স্বর্গ ও নরক কাকে বলে? স্বর্গ ও নরক ভোগ করে জীবাত্মা কিভাবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে? তাছাড়া, ভূ, ভুবঃ স্বঃ, মহঃ, জন, তপ, সত্য ও ব্রহ্ম লোক কী? জীবাত্মা কিভাবে এইসব লোকসমূহে একটার পর একটা অতিক্রম করে ব্রহ্মলোকে উপনীত হয়? এইসব নানা প্রশ্ন উপনিষদে আলোচনা হয়েছে। এ-ব্যাপারে কৌষিকী, ছান্দোগ্য ও বৃহদারণ্যক উপনিষদে সবিস্তারে রূপকের আকারে বর্ণনা আছে। তাছাড়া কঠোপনিষদের নচিকেতার উপাখ্যান হিসাবে নচিকেতা ও যমের কথাবার্তা'র মধ্যেও কিছু পরলোক তত্ত্বের ইঙ্গিত আছে। তবে পরলোক তত্ত্ব অত্যন্ত জটিল ও রহস্যময় বিষয়। উচ্চ-প্রকৃতির সাধু মহাত্মারাই কেবল এই তত্ত্বের হদিশ পান। অথচ প্রত্যেকেরই মনে নানা প্রশ্ন জাগে। উত্তর জানতে ইচ্ছা হয়। উপনিষদে এই বিদ্যাকে রহস্যময় 'পঞ্চাগ্নি বিদ্যা' বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই বিদ্যা যথাযথ অধ্যয়ন, স্মরণ-মনন ও নিদিধ্যাসন করলে মানুষের মনে জন্ম, মৃত্যু ও মোক্ষলাভ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা জন্মায়। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও রহস্যময় থাকার কারণে আমরা আগাগোড়া ‘প্রশ্ন-উত্তর’ আকারে সাজিয়ে এই গ্রন্থে আলোচনা করেছি। আশা করি বারবার পড়ে এবং অনুধ্যান করে জন্ম-মৃত্যু ও মুক্তির রহস্য সম্বন্ধে পাঠক যথাযথ অবগত হতে পারবেন। অপরদিকে এই লেখার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জন্ম-মৃত্যুর পরপারে যাওয়ার কথা, কর্মফল, দানমাহাত্ম্য, তপস্যা এবং পরমানন্দ লাভের কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বইটির বিষয়বস্তু যথাযথ অধ্যয়ন করে মনন করলে পরমানন্দ লাভ যে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.