তিব্বতের রহস্যময় যোগ ও তন্ত্র (খণ্ড -১)
দেবদীপ প্রণীত
বেদ-পূর্ব কাল থেকেই যোগ ও তন্ত্রসাধনার ক্ষেত্রে ভারত উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত ছিল। যদিও সেই ধারা আজও স্রোতস্বিনী, কিন্তু এই সাধনার পদ্ধতি সম্বলিত অমূল্য অনেক গ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপি বিদেশী আক্রমণে লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তিব্বতই একমাত্র দেশ যে দেশ আজও এই নিরন্তর-অনন্ত-ধারা সযত্নে ধরে রেখেছে। তিব্বতের সাংগ্রীলা ঘাটির অন্তর্গত ১১টি গুপ্তমঠে এই সাধন ধারা অব্যাহত। ভূ-শূন্য ও বায়ুশূন্য চতুর্থ আয়াম বা Fourth Dimention অধ্যুষিত (যেখানে কালের প্রভাব নগণ্য, ফলে মানুষের বয়স থমকে দাঁড়ায়) এই সাংগ্রীলা ঘাটির তিনটি প্রধান মঠ হল—জ্ঞানগঞ্জ মঠ, সিদ্ধবিজ্ঞান মঠ ও যোগসিদ্ধাশ্রম মঠ। এইসব গুপ্তমঠে বহু শত বছর ধরে সিদ্ধ সাধক সাধিকারা অবস্থান করছেন। এঁরা প্রায় সকলেই আকাশচারী এবং অবিশ্বাস্য যোগ ও তন্ত্রশক্তির অধিকারী। এঁদের কেউ নির্জন প্রান্তরে মুহূর্তে তৈরি করে ফেলতে পারেন বিশাল অট্টালিকা, আবার কেউ বা পাহাড়ি পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বড় পাথরের চাঁইকে ক্ষণিকের জন্য হালকা তুলোর ওজনে রূপান্তরিত করে পথের বাধা দূর করেন।
আলোচ্য গ্রন্থে তিব্বতের গুপ্তমঠ সমূহ এবং সেখানকার শতাব্দী প্রাচীন সাধন পদ্ধতি যেমন রয়েছে তেমনি সেই সকল গুপ্তমঠে অবস্থানকারী অসীম শক্তির অধিকারী সাধক-সাধিকার কথাও উল্লেখিত হয়েছে। এই সঙ্গে আলোচিত হয়েছে প্রাসঙ্গিক আরও বহু বিস্ময়কর বিষয়, যা আমাদের এতদিন অজানা ছিল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি