জীবক
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী
একজন বারবণীতার পথে ফেলে দেওয়া পুত্র থেকে বৌদ্ধযুগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, কয়েকশত গাছগাছালির গুণাগুণ যাঁর নখদর্পণে। পথটা মোটেই সহজ ছিল না। তক্ষশীলা থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথম হওয়া এই মহামানবের চিকিৎসা এবং ঔষধির গুণাগুণের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। সাধারণ প্রজা থেকে রাজ-রাজাদের খাসমহল পর্যন্ত অবাধ ছিল তাঁর যাতায়াত। ফলত মগধ, কোশল প্রভৃতি প্রায় সব রাজ্যের পঙ্কিল ঘৃণ্য রাজনীতির স্বীকার ছিলেন তিনি। কিন্তু আর এক মহামানবের কাছ থেকে পেয়েছিলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানুষ, মানুষ্যত্ব। অক্ষরে অক্ষরে সারাজীবন পালন করেছিলেন সেই শিক্ষা। সেই মহামানব গৌতম বুদ্ধের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। বিপুল সম্পদ, বিরাট বাসস্থান, লোভ, ঈর্ষা-কে হেলায় জয় করে ফিরে গিয়েছিলেন সেই অরণ্যনাীর কাছে, সেই বৃক্ষরাজীর কাছে যা ছিল তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ।
জীবক এক চেতনার নাম– যে চেতনা আমাদের প্রতিনিয়ত শিক্ষা দিয়ে যায়, যে বিপুলা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী জিনিষকে, লোভের বশে আজ আমরা ধ্বংস করছি, একমাত্র সেই পারে আমাদের প্রাণ রক্ষা করতে। মানব সভ্যতার লোভ-লালসাকে সাবধান করে নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তীর কলমে দুই মলাটে ‘জীবক’-এর আর্বিভাব।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি