কালগর্ভ
ডাঃ. তীর্থ প্রতিম দাস
এই বিশ্বে কিছুই হারিয়ে যায় না চিরতরে। কালগর্ভে বিলীন, বিস্মৃত ঘটনাবলীর রেশও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তরঙ্গের মত গুহ্য থাকে বর্তমান পৃথিবীতে। অত্যন্ত সংবেদনশীল কারো কারো চেতনায় সেই স্পন্দন ধরা দেয় বটে, কিন্তু অনেক সময় সেই গুহ্য, সুপ্ত সত্তার ঘুম ভাঙালে ঘনিয়ে আসে ভয়ঙ্কর বিপদ।
নববিবাহিত অগ্নি প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে খেয়ালের বশে ঘরে নিয়ে আসে এক সুপ্রাচীন বস্তু। তারপর থেকেই তার স্ত্রী নৃত্যশিল্পী মোহনাকে প্রতিদিন গোপনে অনুসরণ করে কেউ। নিয়তি তাদের নিয়ে যায় কেরল প্রদেশের মুন্নারের পার্বত্য জঙ্গলে, ভয়ংকর এক চক্রের মাঝে; তারপর গোলকুন্ডা দুর্গের ভগ্নস্তূপের এক অনাবিষ্কৃত অংশে এক বিকৃতমস্তিষ্ক যুবকের নিয়ন্ত্রণে; শ্রীশৈলম পাহাড়ে মল্লিকার্জুন মন্দিরের নিকটে এক গুপ্ত সিদ্ধরসায়ন ক্ষেত্রে এক কাপালিক সাধুর সাধন ভূমিতে। স্কন্দগিরির চূড়ায় ভেঙে যায় সুপ্ত নৃসিংহদেবের ঘুম। এই রহস্য উন্মোচনে যোগ দেয় মোহনার বান্ধবী ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট মিস লর্না মেরেডিথ। উঠে আসে পুরনো কলকাতার অনেক রহস্যের যোগ।
বিচিত্র, ভয়ংকর, অতিপ্রাকৃত ঘটনাবলীর তরঙ্গে তরঙ্গে অগ্নি, মোহনা, আর লর্না কোন প্রাচীন রহস্যের দ্বার উদ্ঘাটন করলো শেষ পর্যন্ত?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি