কালো মেয়ে, মা কালী

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
সিদ্ধার্থ গঙ্গোপাধ্যায়
প্রকাশক সাহিত্যশ্রী

মূল্য
₹384.00 ₹400.00 -4%
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

কালো মেয়ে, মা কালী 

ঈশ্বর চিন্তা ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের আত্মা 

ড. সিদ্ধার্থ গঙ্গোপাধ্যায় 

"প্রবল কর্মশীলতা শ্রীকৃষ্ণের একটি উপদেশ। কর্তব্য কর্মে অবহেলা করিও না; উহাদের ফলাফল কি হইবে, তাহা ভাবিও না। কর্তব্য পালন করিয়া অগ্রসর হইতে থাকো, তোমাকে যে কাজ করিতে হইতেছে, তাহা বড় কি ছোট, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য করিও না। কেবল মনকে জিজ্ঞাসা কর, মন নিঃস্বার্থভাবে কাজ করিতেছে কি না। যদি তুমি নিঃস্বার্থ হও, তবে কিছুতেই কিছু আসিয়া যাইবে না, কিছুই তোমার উন্নতির প্রতিবন্ধক হইতে পারিবে না। কাজে ডুবিয়া যাও, হাতের সামনে যে কর্তব্য রহিয়াছে, তাহাই করিয়া যাও।"

স্বামী বিবেকানন্দ, বাণী ও রচনা (৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৪) 

হিন্দুধর্মের সব দেব-দেবীই 'সাকার'। তাঁরা ভুলদেহে বিগ্রহ বা মূর্তিরূপে বিরাজ করেন। তাঁদের অপরিসীম শক্তি নিহিত থাকে তাঁদের সূক্ষ্মদেহে, তাঁদের আত্মায়। যেটা অদৃশ্য... আমরা বাইরে থেকে দেখতে পাই না। তাঁদের এই পর্বতপ্রমাণ ক্ষমতার প্রতীকী রূপ প্রকট করা হয় তাঁদের কর্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয়-র ভাবভঙ্গীর এবং হাতগুলো কি ধারণ করে রয়েছে সেই সবের মাধ্যমে। সেদিক থেকে হিন্দুদের অন্য দেবদেবীর তুলনায় 'মা কালীর রূপ সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি আমাদের পরম আদরণীয়া ও আরাধ্যা। কালো মেয়ে মা কালী আবার অন্য দিক দিয়ে অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার আকাশের মতো নিশ্ছিদ্র, নিরাকার ... দূর দিগন্তের অনন্তে লীন হয়ে আছেন। ঠাকুর রামকৃষ্ণ, যিনি অবতাররূপে মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তিনিই একমাত্র মহামানব যিনি মা কালীকে বহুররূপে দর্শন করেছিলেন। উপলব্ধি করেছিলেন তাঁর মাহাত্ম্য। তাঁর অসাধারণ শক্তির প্রবাহ-কে নিয়ে এসেছিলেন নিজের আত্মার মধ্যে। মুহুর্মুহু ভাবসমাধিস্থ হয়ে এবং কখনো কখনো নির্বিকল্প সমাধিমগ্ন হয়ে। সেই জ্যোতির্ময় আত্মার ফালি তিনি দিয়েছিলেন তাঁর সহধর্মিনী মা সারদাকে। তাত্ত্বিক-দাম্ভিক-নিরাকার ব্রহ্মে বিশ্বাসী নরেন্দ্রনাথ এবং তাঁর ফৌজের অন্যান্য সদস্য সৈন্যদের যাঁরা পরবর্তীকালে অবিদ্যা আর অবিশ্বাস-অজ্ঞানতার সঙ্গে লড়াই করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর 'যতো মত ততো পথ'-এর মতো বাণীর সম্ভার। ঈশ্বরতত্ত্ব অতি জটিল। এসম্পর্কে নানা বিজ্ঞের, নানা গবেষকের নানান অভিমত। সেইসব ধ্যান-ধারণাকে নিপুণ শৈলীর সঙ্গে উপস্থাপনা করা হয়েছে কালীতত্ত্বের সাথে সাথে, এই গ্রন্থে। শক্তিতত্ত্বের জগতে লেখকের এ এক যুগান্তকারী অবদান, সম্পূর্ণ অভিনব দৃষ্টিভঙ্গীতে রচিত।

লেখক পরিচিতি : 

বিশ্বমানের মানবসম্পদবিশেষজ্ঞ ও মস্তিষ্ক-স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. সিদ্ধার্থ গঙ্গোপাধ্যায় হিন্দু দেব-দেবী ও ঈশ্বরের অবতারবর্গের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দেশ-বিদেশে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২০২৫-এ Golden Book Award-এ ভূষিত হওয়া তার একটি সাক্ষাত্ প্রমাণ। হিন্দুশাস্ত্র-ধর্ম-ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের পথে তিনি হাঁটেন না। তাঁর লেখনীতে ফুটে ওঠে স্কুল ও সূক্ষ্ম দেহতত্ত্ব ও মস্তিষ্কবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গীতে যা তিনি দেখছেন সেইসব সহজেই মেনে নেবার মতো অভিনব অথচ বাস্তবিক তথ্য। ড. গঙ্গোপাধ্যায় দেশে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত। তাঁর স্নাতকোত্তর গবেষণার জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন বৃটেনের কারিগরীবিদ্যার পীঠস্থান গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়। লন্ডনের বৃটাশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে তিনি বাণিজ্যিক পরিচালনবিদ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরে এসে একাধারে বিজনেস্ ম্যানেজমেন্ট ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ১৯৮৩ থেকে ২০১৮-এই দীর্ঘ ৩৫ বছর তিনি তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান 'লার্নিং ক্লাব'-এর মাধ্যমে ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায়। পৃথিবীর নানান দেশে তিনি সফর করেন ভাষণ দেবার উদ্দেশ্যে। ড. গঙ্গোপাধ্যায় যে অসংখ্য সম্মানে ভূষিত, সেগুলোর মধ্যে প্রোজ্জ্বল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, নেহরু পদক, গোল্ডেন পীকক্ অ্যাওয়ার্ড ও সম্প্রতি গোল্ডেন বুক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫। বিদেশে তিনি সম্মান পেয়েছেন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন ও নেদারল্যান্ডস-এর ফিলিপস্ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থা থেকে। ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় ৩৫টি গ্রন্থ ও ৮০০-রও অধিক প্রকাশিত প্রবন্ধের রচয়িতা। এছাড়া ইউটিউবে তাঁর পঞ্চাশটি 'নিউরো ম্যানেজমেন্ট'-সম্পর্কিত ভিডিও পোস্ট করা আছে। লেখক দ্বারা সংগৃহীত অসংখ্য টুকরো টুকরো তথ্যকে সাজিয়ে এই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন তাঁর সুযোগ্য ছাত্র শ্রীনিখিল চিত্রকর।

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি