খাদ্য-বিজ্ঞান
প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
সুদীর্ঘ সময়কাল পরে 'খাদ্য-বিজ্ঞান' বইটি ফের পাঠকের সামনে হাজির হোল। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের জীবনসাধনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি ছিলেন প্রথম সারির জনবিজ্ঞানী কর্মী। রসায়ন গবেষণার উচ্চমার্গের ঘেরাটোপ ডিঙিয়ে তিনি সব সময়ে হাজির থেকেছেন আমজনতার মাঝে। তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনকে তিনি কখনই উপেক্ষা করেন নি। বাঙালির রুগ্ন, হতশ্রী, মৃতপ্রায় শরীরে জীবনীশক্তি সঞ্চারে তাঁর প্রভূত উদ্যম সর্বদাই নিয়োজিত ছিল। এই বইটি যথার্থই এক বাস্তব প্রয়োজনকে মাথায় রেখে রচিত। এর 'সুবিস্তৃত সূচিপত্র' থেকে পাঠক একনজরেই বুঝতে পারবেন কী বিপুল শ্রম ও নিষ্ঠা রয়েছে এই গ্রন্থের নির্মাণ প্রয়াসে। আবশ্যক হাজারো খুঁটিনাটি তথ্যের মূল্যবান সন্নিবেশ লেখকদ্বয়ের সতর্কতার মাত্রাকে সহজেই চিনিয়ে দেয়।
এই বই আজকের 'পুষ্টিবিজ্ঞান' পঠনপাঠনে ব্যাপৃত শুধু ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, শিক্ষক-গবেষক-বিজ্ঞানীরাও এ থেকে নতুন উপলব্ধি লাভে সঞ্জীবিত হবেন। দেশবাসীর প্রতি যথার্থ মমত্ববোধ ও দায়বদ্ধ অনুরাগ থেকে এই বই রচিত হয়েছিল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি