খানার বচন
দীপঙ্কর দাশগুপ্ত
প্রচ্ছদ । অরিন্দম নন্দী
'গ্যারানি’ খেতে কেমন? কালোজিরে বাটা? কী খেতে ভালবাসতেন শ্রীচৈতন্য? এই সব কূট প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বসলেই খিদে পায়। আর খিদে পেলেই মাথার ভিতরে ঘূর্ণি ওঠে স্মৃতির। ফেলে আসা দিনের খাবারের গন্ধ যেন মরমে পৌঁছয়। সেই গন্ধের সুবাদে আবার মনে পড়তে শুরু করে আনুষঙ্গিক নানা বিষয়। আমাদের ‘আপরুচি’ খানা এই স্মৃতি আর তার অনুষঙ্গ দিয়েই তৈরি। শৈশবের খাওয়া কোনও পদের স্মৃতি তাড়িয়ে ফিরতে পারে মধ্যবয়সেও। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। একটি খাবারের প্রসঙ্গ থেকে অন্য প্রসঙ্গেও যে চলে যায় স্মৃতিপ্রহেলিকা, খোঁজ করে পদ থেকে পদান্তরে যাওয়ার মানচিত্রের। সেখানে ব্যক্তিগত স্মৃতি অর্থাৎ কি না ‘আপরুচি’ গড়ায় ‘বারোহাঁড়ি’র ভিনরুচির দিকে। এই বইতে ভুলে যাওয়া এবং মনে থাকা— সব রকম পদের সন্ধানে বেরিয়ে লেখক কখনও হেঁটেছেন সে খাবারের উৎসের দিকে, কখনও বা খুঁজেছেন খ্যাতজনের খাদ্যরুচির যাত্রারেখা। আড্ডার ভাষায় লেখা এই বই খাদ্য সংস্কৃতি চর্চার বিভিন্ন অভিমুখকে স্পর্শ করেছে। তা বাঙালির পান্তাভাতের মতো মামুলি খাবার হতে পারে, বা জাপানি ‘ওয়াগাশি’ও হতে পারে। কাশীর স্ট্রিট ফুড আর যাদবপুরের ফুটপাথের খানা এখানে অনায়াসে তাল দেয় পরস্পরকে। কোনও বিরোধই নেই তামসিক বিরিয়ানির সঙ্গে সাত্ত্বিক নিম-বেগুনের। এই বইয়ের পাতা ওলটানো মানেই বসে পড়া এক আশ্চর্য পঙ্ক্তি ভোজনে, যেখানে পাঠকের সঙ্গী স্বামী বিবেকানন্দ থেকে সুকুমার রায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.