ব্যোমকেশ বক্সীর কলকাতা

ব্যোমকেশ বক্সীর কলকাতা 

প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত 

প্রচ্ছদ । অরিন্দম নন্দী 

'সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর সত্যান্বেষণের কেন্দ্রভূমি গোড়া থেকেই কলকাতা শহর। একেবারে প্রথম কাহিনি থেকেই ব্যোমকেশকে মহানগরের বাসিন্দা হিসেবে দেখিয়েছেন স্রষ্টা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যোমকেশকে কর্মসূত্রে প্রায়শই কলকাতার বাইরে যেতে দেখা গিয়েছে। বেবাশ কিছু ব্যোমকেশ কাহিনি আবার বাংলার চৌহদ্দি পেরিয়ে প্রসারিত। তবু প্রায় প্রতিটি আখ্যানেই কোনও না কোনও ভাবে কলকাতা জড়িত থেকেছে। কাহিনিক্রমের নিরিখে প্রথম ‘সত্যান্বেষী’ থেকে অসমাপ্ত ‘বিশুপাল বধ’ পর্যন্ত আখ্যানে কলকাতা এসেছে নানা কিসিমে, বিবিধ চরিত্রে, অজস্র বর্ণালিতে। কেমন ছিল ব্যোমকেশের কলকাতা? মনে রাখতে হবে, ব্যোমকেশ মফস্‌সলের মানুষ আর তার স্রষ্টা শরদিন্দুও কলকাতায় আগন্তুক। দুই ‘বহিরাগত’ মানুষের চোখে এই শহর যেভাবে দৃষ্ট হয়েছে, তার তুলনা বাংলা সাহিত্যে পাওয়া দুরূহ। কাহিনি বুনতে বসে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকলমে শরদিন্দু অনেক সময়েই প্রকাশ করেননি বিভিন্ন ঘটনার অকুস্থল। শুধুমাত্র তাদের সম্ভাব্য স্থানাঙ্ক নির্দেশ করেই থেমে গিয়েছেন। আবার কখনও তৈরি হয়েছে কাল্পনিক মহল্লা, যার পিছনে অবশ্যই থেকেছে বাস্তবের কলকাতা। এই বইতে লেখক নিজেই নেমেছেন সত্যান্বেষণের কাজে। প্রায় দক্ষ হুনরের কায়দাতেই খুঁজে বার করেছেন শরদিন্দু-বর্ণিত কলকাতা শহরের গলি-উপগলি থেকে সদর-অন্দরকে। ব্যোমকেশ-ভক্তদের কাছে এ বই এক অন্য দ্যোতনা যেমন বহন করবে, তেমনই শহর কলকাতার হারিয়ে যাওয়া সময়ের দাস্তাঁও বলা যেতে পারে এই গ্রন্থকে।'