কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি
মদন বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের কবিয়ালদের উদ্ভব আকস্মিক বা তৎকালীন বাবুসমাজের খেয়ালখুশিতে নয়। মোটামুটি ভাবে যদি আমরা বাংলা সাহিত্যের প্রচলিত ধারার দিকে দেখি, তাহলে দেখা যাবে আদি থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ধারাই গীতধর্মী। যাত্রার কবি ও পাঁচালিকাররাই এ-ধারার শেষ উত্তরাধিকারী। এবং শুধু তাই নয়, এই কবিগান, যাত্রাগান ও পাঁচালিগানের মধ্যেই শাক্ত ও বৈষ্ণব - বাংলার এই চিরন্তন ধারা মিলিত হয়েছে। বাঙালিগণ একই সঙ্গে শাক্ত ও প্রেমের পূজারি, এ কথা তাঁরাই প্রথম বললেন তাঁদের গানের মধ্য দিয়ে। যাত্রা, পাঁচালি এবং কবিগান- এ তিনেরই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় গীতিমুখরতায়। চর্যা থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হয়ে যে গীতিধারা বৈষ্ণবে এসে মিশেছিল, তারই মূল গতি, শাক্ত সংগীতে মিলিত হল। তারপর চলে গেলেন ভারতচন্দ্র। ইংরেজ হাত বাড়াতে লাগল বাংলার সংস্কৃতির ওপর- এ থেকে পাশ কাটিয়ে একান্তই নিজস্ব গীতিধারার অনুসন্ধান যাত্রা, পাঁচালি এবং কবিগান।
এইরকম এক কবি-গায়ক, কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি। তাঁকে নিয়েই এই আখ্যান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.