কলকাতা এবং কলকেতার রাজা রাজড়া 

তরুণ চট্টোপাধ্যায় 

প্রচ্ছদ : সৌরভ মিত্র 

কলকাতা এবং কলকেতার রাজা রাজড়া পুরানো কলকাতার নানা গল্পের জাহাজ। শ্যাকড়া গাড়ি ছুটছে ছড়ছড় করে ধুলো উড়িয়ে। ঝালর দেওয়া পালকি পথে ঘাটে। দড়ির চাবুক পড়ছে হাড় বের করা ঘোড়ার পিঠে। ছিল না বাস, ট্রাম বা ট্রেন। বাবুরা আপিসে যেতেন কষে তামাক টেনে ও পান চিবোতে চিবোতে। শহরে ছিল না বিজলী বাতি। কেরোসিনের কুপিই ভরসা। রাজা রাজড়া দের ছিল না সোনার সিংহাসন। মাথায় রাজমুকুট। আসলে তাঁরা যে খেতাব রাজা। এক রাজার সঙ্গে আর এক রাজার সাদৃশ্য ধরা পড়েনি চোখে। ধরা পড়েছে বাবুয়ানা। পক্ষীদল কাটলেন নানা ছড়া গঞ্জিকা সেবন করে। কলকাতার নানা গল্প ধরা রয়েছে গ্রন্থ জুড়ে। জব চার্নকের কলকাতা অবশ্যই নয়। কলকাতা ঝুরিনামা বট। নানা তথ্য সংকলিত গ্রন্থ কলকাতা এবং কলকেতার রাজা রাজড়া। এক অন্য কলকাতার রঙীন পালকে মোড়া। অতীত কলকাতা ও আজকের কলকাতার আসমান জমিন ফারাক ধরা রইলো গ্রন্থ জুড়ে। তবুও কলকাতা আছে কলকাতাতেই।

লেখক পরিচিতি : 

লেখকের পেশা শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে। হতে চেয়েছিলেন নামী সাংবাদিক। হয়ে গেলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিনিয়র ম্যানেজার। তা হলে কী হবে নেশা তো সেই সাংবাদিকতা। ফলে ব্যাঙ্কের কাজের সঙ্গে সঙ্গেই চললো কাগজে কলম লেখা। আলো ফেললেন দুই পেশাতেই।

কলকাতা এবং কলকেতার রাজা রাজড়া গ্রন্থটি পুরানো কলকাতাকে কেন্দ্র করেই। নানা অজানা কথার ফুলঝুরি। কলকাতার জন্ম কাহিনী নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও কলকাতা যে বহু পুরাতন সে কথার নানা প্রমাণ রয়েছে পাতায় পাতায়। লেখকের অন্যান্য গ্রন্থ গুলি হল ব্যাঙ্ক কর্মীর অকথিত ধারাভাষ্য, রসিকের নাচনি, মুন্নীবাঈ বাঈজী থেকে বেগম, চৈতন্য কুয়াশার চাদরে মোড়া দিনলিপি, কণ্ঠিবদল, রাবণ, অশ্বত্থামা, পরশুরাম, শকুনি প্রমুখ। একজন সফল লেখক হিসাবে ইতিমধ্যেই পাঠকের মন জয় করেছেন।