নয়াদিল্লির করোলবাগের বাঙালি যুবক বছর আঠাশের শাক্যদেব ভট্টাচার্য কোচিন এক্সপ্রেস থেকে যখন এর্নাকুলাম স্টেশনে নামলো তখন সকাল সওয়া আটটা। তার চারপাশে নানাবয়সের নরনারীরা মালয়লম ভাষায় কলকল করে এগিয়ে চলেছেন। শাক্যদেব এক সময় দেখলো, বছর তিরিশ-একত্রিশের যে গজেন্দ্রগামিনী রাজসিক ভঙ্গিতে হেঁটে যাচ্ছে তার দিকে না তাকিয়ে উপায় নেই। সেই দীর্ঘাঙ্গীর গঠনসৌষ্ঠব ছাড়াও সুদীর্ঘ বিনুনিটাও দেখবার মতো।
বড় বড় চোখ, টানা নাক, সামান্য জোড়া ভ্রু, আঁখিপল্লবের গভীর ছায়া এবং সমান মাপের দুই ঠোঁটের মায়ার সেই শ্যামাঙ্গীর নাম দ্রৌপদী দেবুলাপল্লি। তবে একত্রিশের দৌপদী যে বিধবা এবং তার একমাত্র সন্তান বছর চারেকের শ্রেয়ান ক্যানসারে আক্রান্ত-এত সব তো শাক্যদেবের জানার কথা নয়। ওর শুধু মনে হয়েছিল, এই সৌন্দর্যময়ী আসলে কোথায় যেন এক বিষাদময় বিষণ্ণপ্রকৃতিও।
প্রথম দর্শনের ঘ্রাণটুকু নিয়ে গভীর এক অন্বেষণে ও ভালোবাসার নিবিড় টানে শাক্যদেব যে মায়ায় জড়িয়ে গেল সেই আখ্যান নিয়েই সমীরণ গুহ-র এই হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস 'কৃষ্ণকলির ছায়ায়'-যেখানে দ্রৌপদীর গহনে ডুব দিয়ে শাক্যদেব নিজেকেই খুঁজে পায়! নিজেকেই ফিরে ফিরে দেখে!!
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি