লাল পলাশ ও বন্দুক রহস্য (প্রথম খণ্ড)
"ত্রিশঙ্কু রহস্য এবং সোমদা"র পরবর্তী গল্প
দীপ মাহান্তী
গোয়েন্দা কাহিনীর গতানুগতিক ধারাকে ভেঙে এক অভিনব চেষ্টা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফসল 'লাল পলাশ ও বন্দুক রহস্য (প্রথম খণ্ড)'। এই দীর্ঘ উপন্যাসের প্রথম খন্ড লিখতে লেখক সময় নিয়েছেন সাড়ে চার বছর। যেখানে প্রেম আছে আবার মৃত্যুর রহস্য সমাধানও আছে। আছে সামাজিক জীবনের প্রেক্ষাপট, তেমন মানুষের মনের ভেতর চলতে থাকা হাজার কথা, হাজার প্রশ্ন, মনস্তাত্ত্বিক দিক। আসলে রহস্য মানে শুধু খুন-খারাবি, চুরি ডাকাতি সম্পর্কিত ধারণা থেকে বেরিয়ে লেখক সমাধান করতে চেয়েছেন মানুষের মনের রহসা।
,---------------
প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের শরীরটা পাওয়া গেল আম গাছের একটি ডালে ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘরের মধ্যে কোনও সুইসাইড নোট ছিল না, আত্মহত্যার জন্য কোনও কারণ ছিল না। সারা জীবনের ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যাবে না কোনও অবসাদের চিহ্ন। আগের রাতে গিয়েছিলেন শিবরাত্রির মেলা দেখতে তারপর আর বাড়ি ফেরেননি সে রাতে। ফিরেছিল শরীরটা পোস্টমর্টেম-এর পর। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট দেখে সন্দেহ জাগে। প্রশ্ন ওঠে আত্মহত্যা নাকি খুন?
যেভাবে বাইশ বছর আগে জোৎস্নার আলোতে একজন প্রাইমারি শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছিল। যে মানুষটা দিনের আলোয় ভালোভাবে হাঁটতে গেলে সম্যসায় পড়তেন, চায়ের কাপ হাতে থাকলে আঙুলের কাঁপুনিতে ডা পড়ে যেত ধুতিতে। সেই মানুষটাকে পাওয়া গেল পেয়ারা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। কীভাবে ওই মাঝরাতে গাছের উঁচু ডালে পৌঁছেছিলেন মানুষটা? কীভাবে কাঁপা হাতে দড়ি বেঁধেছিলেন গাছের ডালে? প্রশ্ন তখনও ওঠে আত্মহত্যা নাকি খুন?
কীভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত এই দুইজন? কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সেই প্রাক্তন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের অথবা বাইশ বছর আগের প্রাইমারি শিক্ষকের? আত্মহত্যা নাকি খুন? যদি খুন হয় তবে কে দায়ি এই খুনের? কে করবে রহস্যের সমাধান? ঋক ও মিঠি নাকি ফিরবে সোমনা?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি